অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় ব্যাট হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিরাপদ লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টে করেন রোভম্যান পাওয়েল। তবে তাঁর প্রচেষ্টা সফল হয়নি শেষমেশ। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডে কাছে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচেও হারের মুখ দেখতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ফলে ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের। উল্লেখ্য, এর আগে ওয়ান ডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড। সেদিক থেকে দেখলে ব্রিটিশরা টি-২০ সিরিজ জয় নিশ্চিত করে হিসাবটা বরাবর করল বলা যায়।
ড্যারেন স্যামি ন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করলেও ক্যারিবিয়ানরা দেড়শো রানের গণ্ডি টপকাতে ব্যর্থ হয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান তোলে।
পাওয়েল ৪১ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৩০ রান করেন রোমারিও শেফার্ড। তিনি ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১৯ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন আলজারি জোসেফ। তিনি ৩টি চার মারেন। বারিকা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি।
উল্লেখ্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ একসময় ৩৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা লড়াই করার রসদ জোগাড় করে নেয়। এভিন লুইস ৩, শাই হোপ ৪, নিকোলাস পুরান ৭, রোস্টন চেস ৭, শিমরন হেতমায়ের ২ ও আকিল হোসেন অপরাজিত ৮ রান করেন। খাতা খুলতে পারেননি গুড়াকেশ মোতি।
ইংল্যান্ডের হয়ে সাকিব মাহমুদ ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ৩টি উইকেট দখল করেন। ৪ ওভারে ২০ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন জেমি ওভার্টন। ৪ ওভারে ২৫ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন জোফ্রা আর্চার।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৯.২ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৪ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা এবং সেই সুবাদে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে লিড নেয়।
৩৩ বলে ৩২ রান করেন উইল জ্যাকস। মারেন ৩টি চার। ২৬ বলে ৪১ রান করেন স্য়াম কারান। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ২৮ বলে ৩৯ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
ফিল সল্ট ৪, জোস বাটলার ৪, জেকব বেথেল ৪, ড্যান মাউসলি ৮, জেমি ওভার্টন অপরাজিত ৪ ও রেহান আহমেদ অপরাজিত ৫ রানের যোগদান রাখেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪ ওভারে ২২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন আকিল হোসেন। ম্যাচের সেরা হন সাকিব মাহমুদ।