ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবর ধারাবাহিক। সেই ধারাবাহিকতা দিয়েই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার যোগ্য দাবিদার ছিলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তবে জাতীয় নির্বাচকদের উপেক্ষার শিকার হতে হয় তাঁকে। ভালো খেলা সত্ত্বেও তিন ফর্ম্যাটেই জাতীয় দলে জায়গা খুঁজে বেড়াতে হচ্ছে রুতুকে।
এমন পরিস্থিতিতে রঞ্জি ট্রফিতে ব্যাট হাতেই জাতীয় নির্বাচকদের উপেক্ষার জবাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রুতুরাজ। বরোদার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় ইনিংসে আগ্রাসী মেজাজে হাফ-সেঞ্চুরি করেন রুতু। যদিও বাড়তি আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টায় নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন গায়কোয়াড়।
শতরান হাতছাড়া রুতুরাজের
বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ২১ বলে ১০ রান করে আউট হন রুতুরাজ। তিনি ২টি চার মারেন। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। শেষমেশ ৮৩ বলে ৮৯ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেল মাঠ ছাড়েন রুতুরাজ। মাত্র ১১ রানের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া হয় তাঁর।
বরোদার বিরুদ্ধে চালকের আসনে মহারাষ্ট্র
বরোদার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে চালকের আসনে মহারাষ্ট্র। নাসিকে এলিট-এ গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মহারাষ্ট্র। তারা প্রথম ইনিংসে ২৯৭ রান তোলে। ব্যাট করে সাকুল্যে ৯৮.৪ ওভার। সৌরভ নাওয়ালে ৮৩ ও সিদ্ধেশ বীর ৪৮ রান করেন। বরোদার অতীত শেঠ প্রথম ইনিংসে একাই ৬টি উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন ক্রুণাল পান্ডিয়া।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বরোদা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪৫ রানে। তারা ৩৩.১ ওভার ব্যাট করে। মিথেশ প্যাটেল ৬১ রান করেন। ৩৬ রান করেন মহেশ পিথিয়া। ক্যাপ্টেন ক্রুণাল পান্ডিয়া ১২ রান করে আউট হন। মহারাষ্ট্রের মুকেশ চৌধরী প্রথম ইনিংসে ৩টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন রজনীশ গুরবানি ও রামকৃষ্ণ ঘোষ।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৫২ রানের লিড নিয়ে নেয় মহারাষ্ট্র। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান তুলেছে। অর্থাৎ, বরোদার থেকে এখনই ৩৩৯ রানে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তাদের হাতে রয়েছে ৬টি উইকেট। সিদ্ধেশ বীর দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৫ বলে ৪১ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।