চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএল ২০২৪-এর প্লে-অফে উঠতে না পারলেও ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ১৪ ম্যাচে ১টি শতরান ও ৪টি অর্ধশতরান-সহ টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৮৩ রান সংগ্রহ করেন সিএসকে দলনায়ক। তা সত্ত্বেও টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি রুতুর।
বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাননি। এমনকি রিজার্ভ ক্রিকেটার হিসেবেও বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সঙ্গে থাকার সুযোগ মেলেনি। ভালো খেলেও উপেক্ষিত হলে হতাশা গ্রাস করাই স্বাভাবিক। তবে রুতুরাজ ব্যাট হাতেই যাবতীয় বঞ্চনার জবাব দিতে বদ্ধপরিকর। রোহিত শর্মারা যখন আইপিএলের পরে বিশ্বকাপের আবহে ঢুকে পড়েছেন, রুতুরাজ তখন হাত গুটিয়ে ছুটি কাটাতে রাজি নন। বরং জার্সি বদলে তিনিও মাঠে নেমে পড়েছেন ইতিমধ্যেই।
রুতুরাজ চলতি মহারাষ্ট্র প্রিমিয়র লিগে পুণেরি বাপ্পা দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ঈগল নাসিক টাইটানস দলের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে রুতুরাজ ভালো খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি। সেই ম্যাচে ক্যাপ্টেন রুতু করেন ৩৮ রান। তিনি ২১ বলের মারকাটারি ইনিংসে ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। এবার কোলাপুর টাস্কার্সের বিরুদ্ধে দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন রুতুরাজ। দলের জয়ে ব্যাট হাতে মুখ্য ভূমিকা নেন তিনিই।
পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে এমপিএল ২০২৪-এর পঞ্চম লিগ ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে পুণেরি বাপ্পা ও কোলাপুর টাস্কার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পুণেরি বাপ্পা। তারা ১৪ ওভারে কমে দাঁড়ানো ইনিংসে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৩ রান সংগ্রহ করে।
রুতুরাজ গায়কোয়াড় ৩৫ বলে ৬১ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ১৪ বলে ২৪ রান করেন সুরজ শিন্ডে। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ১৯ রান করেন রাহুল দেশাই। কোলাপুরের নিহাল ৪১ রানে ৩টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোলাপুর টাস্কার্স নির্ধারিত ১৪ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১২১ রানে আটকে যায়। ২২ রানে ম্যাচ জেতে পুণেরি বাপ্পা। হর্ষ সাংভি ১৯ বলে ৩৮ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৯ বলে ২৮ রান করেন অনিকেত পারওয়াল। পুণেরি বাপ্পার পীযূষ সালভি ১৮ রানে ২টি উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন রুতুরাজ।