চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে মোটেও পরিচিত ছন্দে ছিলেন না রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কেরল, মুম্বই, অন্ধ্র ও গোয়ার বিরুদ্ধে পরপর ৪টি ম্যাচে মহারাষ্ট্রের ক্যাপ্টেন সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ১, ১৯, ৪ ও অপরাজিত ২ রান। অবশেষে সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে লিগের শেষ ম্যাচে ছন্দে ফেরেন রুতুরাজ। রাজার মতো ইনিংস খেলেও নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করার আক্ষেপ সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়েন রুতু।
বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মুস্তাক আলির ই-গ্রুপের ম্য়াচে মাঠে নামে মহারাষ্ট্র। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামেন রুতুরাজরা। দলের হয়ে ওপেন করতে নেমে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্যাপ্টেন রুতু। তিনি শেষমেশ ৪৮ বলে ৯৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। অর্থাৎ, মাত্র ৩ রানের জন্য ব্যক্তিগত শতরান হাতছাড়া করেন রুতুরাজ। অধিনায়কোচিত ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ৮টি ছক্কা মারেন।
মহারাষ্ট্র নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২৩১ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। অর্শিন কুলকার্নি ২৪ বলে ২৯ রান করেন। মারেন ২টি চার ও ১টি ছক্কা। রাহুল ত্রিপাঠী ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৯ বলে ১৩ রান করে আউট হন। ১৯ বলে ৩২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সিদ্ধার্থ মাত্রে। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন।
২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ১২ রান করেন অথর্ব কালে। ১টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৪ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন ধনরাজ শিন্ডে। সার্ভিসেসের হয়ে ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন অমিত শুক্লা। ১টি করে উইকেট নেন মোহিত রাঠী ও বিকাশ যাদব।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সার্ভিসেস ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯০ রানে আটকে যায়। ৪১ রানে ম্যাচ জেতে মহারাষ্ট্র। যদিও এই জয়ের পরেও মহারাষ্ট্রের পক্ষে নক-আউটের টিকিট অর্জন করা সম্ভব হয়নি। ৬ ম্যাচে ৩টি জয়-সহ ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে মহারাষ্ট্র। ফলে এবারের মতো রুতুরাজদের সৈয়দ মুস্তাক আলি অভিযান শেষ হয় এখানেই।
সার্ভিসেসের হয়ে বিকাশ হাথওয়ালা ৪৭, মোহিত আলাওয়াত ৩৭ ও মোহিত রাঠী ৩৪ রান করেন। মহারাষ্ট্রের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মুকেশ চৌধরী, রাজবর্ধন হাঙ্গার্গেকর ও প্রশান্ত সোলাঙ্কি। ম্যাচের সেরা হন রুতুরাজ।