ইংল্যান্ডকে জিততে হলে শেষ ৬ বলে ১৪ রান করতে হত। এদিকে এই রান ডিফেন্ড করতে, এনরিখ নরকিয়ার হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক এডেন মার্করাম। প্রথম বলেই ইংল্যান্ডকে বড় ধাক্কাটা দেন নরকিয়া। ফেরান হ্যারি ব্রুককে। যিনি হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের হাল ধরে রেখেছিলেন। ম্যাচ জেতার জন্য তাঁর দিকেই তাকিয়ে ছিল ইংল্যান্ড।
এর পর নরকিয়া তাঁর দ্বিতীয় বলে দেন ১ রান। তৃতীয় বলে তাঁকে চার হাঁকান স্যাম কারান। চতুর্থ বলে কোনও রান হয়নি। পঞ্চম বলে হয় ১ রান। এখানেই ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। শেষ বলে ৮ রান প্রয়োজন ছিল। তবে সেই বলে কোনও রান হয়নি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ৭ রানে হেরে যায় ব্রিটিশরা। প্রোটিয়ারা এদিন ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দিকে এক পা বাড়িয়ে রাখল।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচেও কি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে? ভেস্তে গেলে চাপে পড়বেন শাকিবরা
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের ইনিংস। প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন কুইন্টন ডি'কক। ওপেন করতে নেমে ৪টি ছয় এবং চারের সাহায্যে ৩৮ বলে ৬৫ রান করেন তিনি। এতে অক্সিজেন পেয়ে যায় প্রোটিয়ারা। যদিও আর এক ওপেনার রিজা হেন্ডরিক্স ১০ ওভার পর্যন্ত টিকলেও, সেভাবে রান পাননি। ২৫ বলে ১৯ করে তিনি সাজঘরে ফেরেন।
আরও পড়ুন: সহজতম ক্যাচ ফেলে নিজেই বিস্মিত কোহলি, মাথায় হাত রোহিতেরও- ভিডিয়ো
তিনে নেমে ব্যর্থ হন এনরিখ ক্লাসেনও (১৩ বলে ৮ রান)। তবে চারে নেমে ভরসা জোগান ডেভিড মিলার। অল্পের জন্য হাফসেঞ্চুরি হাতছাড়া হলেও, চারটি ৪ এবং ২টি ছক্কার হাত ধরে ২৮ বলে ৪৩ রান করে তিনি দলকে ১৬৩-তে নিয়ে যেতে সাহায্য করেন। এছাড়া ত্রিস্তান স্টাবস ১১ বলে ১২ করে অপরাজিত থাকেন। অন্যরা সেভাবে খেলতে না পারায় রানের গতিও মন্থর ছিল প্রোটিয়াদের। ইংল্যান্ডের হয়ে জোফ্রা আর্চার ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন।
আরও পড়ুন: ভিডিয়ো- সেরা ফিল্ডারের তালিকায় অক্ষরের নাম শুনে চমকে উঠলেন কোহলি, প্রতিক্রিয়া হল ভাইরাল
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড় করছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং। মূলত ব্যাটিং ব্যর্থতার জেরেই হারতে হয় ব্রিটিশদের। ইংল্যান্ডের টপ অর্ডার তো ডাহা ফেল। দলের ৬১ রানেই ৪ উইকেট পড়ে যায় তাদের। রান পাননি ফিল সল্ট (১১)। ১৭ রানে ফেরেন জস বাটলার। বিধ্বংসী ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা ইংল্যান্ডের হারের অন্যতম কারণ। একেবারেই ছন্দে নেই জনি বেয়ারস্টোও (১৬)।
হ্যারি ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন যেটুকু লড়াই করলেন। পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রান যোগ করে এই জুটি। ইংল্যান্ডকে তারা লড়াইয়েও ফিরিয়ে আনে। তবে ১৭ বলে ৩৩ করে আউট হয়ে যান লিভিংস্টোন। তবে হ্যারি ব্রুক উইকেটে থাকা পর্যন্ত ইংল্যান্ডের জয়ের বেঁচে ছিল। কিন্তু ৭টি চারের হাত ধরে ৩৭ বলে ৫৩ রান করে শেষ ওভারের প্রথম বলে ব্রুক আউট হতেই ইংল্যান্ডের আশার প্রদীপ নিভে আসে। শেষ ওভারে নরকিয়া বল হাতে বাজিমাত করে ৭ রানে জয় এনে দেন দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রোটিয়াদের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাডা এবং কেশব মহারাজ।