সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ১৮৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১১ রানে হারতে হয় পাকিস্তানকে। এবার দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে ২০০ রানের গণ্ডি টপকে প্রোটিয়াদের সামনে বড়সড় টার্গেট দেন মহম্মদ রিজওয়ানরা। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের মুখ দেখতে হয় পাকিস্তানকে। ফলে ১ ম্যাচ বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩ ম্য়াচের টি-২০ সিরিজ হারতে হয় পাক দলকে।
সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২০৬ রান সংগ্রহ করে। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন ওপেনার সইম আয়ুব।
সইম ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৩ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ৯৮ রানে অপরাজিত থাকেন। অর্থাৎ, মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্কের রানে পৌঁছনো হয়নি সইমের। ৫৭ বলের আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ১১টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।
অপর ওপেনার তথা ক্যাপ্টেন মহম্মদ রিজওয়ান ১৩ বলে ১১ রান করে আউট হন। তিনি ১টি চার মারেন। ২০ বলে ৩১ রানের কার্যকরী অবদান রাখেন বাবর আজম। তিনি ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। উসমান খান ৩ ও তায়েব তাহির ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১৬ বলে ৩০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন ইরফান খান। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪ বলে ১১ রান করে নট-আউট থাকেন আব্বাস আফ্রিদি।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪ ওভারে ২১ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন ডায়ান গ্যালিয়েম। ওটনেল বার্টম্যান ২টি উইকেট নিলেও ৪ ওভারে ৫১ রান খরচ করেন। ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন জর্জ লিন্ডে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২১০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ৩ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে প্রোটিয়ারা। সেই সঙ্গে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওপেন করতে নেমে ঝোড়ো শতরান রিজার
প্রোটিয়াদের হয়ে ওপেন করতে নেমে ঝোড়ো শতরান করেন রিজা হেন্ডরিক্স। তিনি ৬৩ বলে ১১৭ রান করেন। মারেন ৭টি চার ও ১০টি ছক্কা। ৩৮ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। রায়ান রিকেলটন ২, ম্য়াথিউ ব্রিৎজকে ১২ ও ক্যাপ্টেন এনরিখ ক্লাসেন অপরাজিত ৮ রানের যোগদান রাখেন।
পাকিস্তানের জাহানদাদ খান ৪ ওভারে ৪০ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন আব্বাস আফ্রিদি। শাহিন আফ্রিদি ৪ ওভারে ৩৭ রান খরচ করেও উইকেট পাননি। ম্যাচের সেরা হন রিজা।