দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কা ডারবান টেস্ট তৃতীয় দিনের শেষে যে পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েছিল, তাতে শ্রীলঙ্কার হার কেবল সময়ের অপেক্ষা ছিল। দেখার বিষয় ছিল এটাই যে, শ্রীলঙ্কা লড়াইটা কতদূর টেনে নিয়ে যেতে পারে। সিংহলিরা চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন কোনও রকমে কাটিয়ে দেয়। তবে লাঞ্চের পরেই শ্রীলঙ্কার শেষ ইনিংস ধসে পড়ে। ফলে ডারবান টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫১৬ রানের। তৃতীয় দিনের শেষে শ্রীলঙ্কা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১০৩ রান তোলে। সুতরাং, জিততে শেষ ২ দিনে শ্রীলঙ্কার দরকার ছিল আরও ৪১৩ রান। তাদের হাতে ছিল মোটে ৫টি উইকেট। চতুর্থ দিনে শ্রীলঙ্কা তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ২৮২ রানে। অর্থাৎ, ২৩৩ রানের বিরাট ব্যবধানে ম্যাচ হারে দ্বীপরাষ্ট্র।
শেষ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে সব থেকে বেশি ৮৩ রান করেন দীনেশ চণ্ডীমল। ১৭৪ বলের ইনিংসে তিনি ১২টি চার মারেন। ৮১ বলে ৫৯ রান করেন ক্যাপ্টেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন উইকেটকিপার কুশল মেন্ডিস। তিনি ৭৭ বলে ৪৮ রান করেন। মারেন ৯টি চার।
এছাড়া পাথুম নিশঙ্কা ২৩, দিমুথ করুণারত্নে ৪, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৫, কুশল মেন্ডিস ১০, প্রবথ জয়সূর্য ১, বিশ্ব ফার্নান্ডো ১ ও লাহিরু কুমারা অপরাজিত ৫ রান করেন। প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট নেওয়া মারকো জানসেন দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪টি উইকেট। এছাড়া শেষ ইনিংসে প্রোটিয়াদের হয়ে ২টি করে উইকেট দখল করেন কাগিসো রাবাদা, জেরাল্ড কোয়েটজি ও কেশব মহারাজ। দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১টি উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন জানসেন।
উল্লেখ্য, ডারবানে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান তোলে। ৭০ রান করেন তেম্বা বাভুমা। শ্রীলঙ্কা পালটা ব্যাট করতে নেমে তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মোটে ৪২ রানে। অর্থাৎ, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৪৯ রানের বড়সড় লিড নিয়ে নেয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ৫ উইকেটে ৩৬৬ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেয়। প্রথম ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি করা বাভুমা দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত শতরান করেন। তিনি ১১৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শতরান করেন ত্রিস্তান স্টাবসও। তিনি ২২১ বলে ১২২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন।