টানা তৃতীয় জয় পেল পার্ল রয়্যালস। জোবার্গ সুপার কিংসকে ছয় উইকেটে হারিয়ে সহজ জয় পেল পার্ল রয়্যালস। সহজেই লক্ষ্য তাড়া করে জোবার্গ সুপার কিংসকে ছয় উইকেটে পরাজিত করল পার্ল রয়্যালস। প্রথমে জোবার্গ সুপার কিংসের ব্যাটিং লাইনআপকে ১৪৬/৬ রানে আটকে রাখে রয়্যালস। বিয়র্ন ফোর্টুইন, মুজিব উর রহমান, জো রুট এবং ডুনিথ ওয়েলালাগে মিলে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখেন।
পাওয়ারপ্লেতে ফোর্টুইন (২/২২) দুটি উইকেট নিয়ে সুপার কিংসের ব্যাটিং ধস নামান, যা পরে মুজিব (১/২৮) এবং অন্যান্য বোলারদের জন্য পথ তৈরি করে দেয়। ম্যাচ জিতে রয়্যালস অধিনায়ক ডেভিড মিলার বলেন, ‘খুবই আনন্দিত, ম্যাচ জিততে পেরে ভালো লাগছে। উইকেট এমন ছিল যেখানে আমরা স্পিনারদের ওপর ভরসা রেখেছিলাম এবং তা কাজে লেগেছে। একটা সময় আমার কাছে অনেক অপশন ছিল, যা অধিনায়ক হিসাবে দারুণ ব্যাপার।’
আরও পড়ুন…. ভিডিয়ো: আপনি মুম্বই আসছেন, কিন্তু... সঞ্জু ও নায়ারের গান শুনে সূর্যকুমারের মজার বার্তা
ডেভিড মিলার আরও বলেন, ‘আমরা তাদের চাপে রেখেছিলাম, তবে শেষ দুই ওভারে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিলাম, কিন্তু এটাই খেলার স্বাভাবিকতা। আমার মনে হয় এটি গড়পড়তা স্কোর ছিল।’ ডোনোভান ফেরেইরার ১৯ বলে অপরাজিত ৩২ রান এবং ইংল্যান্ডের দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী জনি বেয়ারস্টোর ৪০ বলে ৬০ রান করেন। এই সময়ে বেয়ারস্টো ২ চার, ৩ ছক্কা হাঁকান। বেয়ারস্টোর এই ইনিংস না থাকলে সুপার কিংসের রান আরও কম হতে পারত। এই ম্যাচে ফ্যাফ ডু প্লেসি ১৯ বলে ১৮ রান করেন।
আরও পড়ুন…. ২০টি উইকেট নেওয়ার জন্য যা দরকার সেটাই করব: স্পিন নির্ভর করে জয়ের কৌশলকে শান মাসুদের সমর্থন
ম্যাচের পরে বেয়ারস্টো বলেন, ‘আমার মনে হয় আমরা প্রতিযোগিতামূলক স্কোর করেছিলাম। যদিও তাদের বোলাররা শুরুতে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে আমাদের চাপে ফেলে দিয়েছিল। তবে শেষ দিকে আমরা লড়াই করেছি।’ এরপরে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি খুব তাড়াতাড়ি ঝুঁকি নেন, তাহলে ৫-৬ উইকেট হারিয়ে ফেলতে পারেন। তবে যদি সাহস করে শেষ পর্যন্ত উইকেট ধরে রাখেন এবং ছোট বাউন্ডারির সুযোগ কাজে লাগান, তাহলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে আমরা হয়তো ১৫-২০ রান কম করেছিলাম।’
রান তাড়া করতে গিয়ে রয়্যালস কিছুটা বিপদে পড়লেও নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে। হার্ডাস ভিলজিয়ন (২/২৩) দ্রুত জো রুট এবং প্রিটোরিয়াসের উইকেট তুলে নেন। মিলার বলেন, ‘উপরের দিকের ব্যাটসম্যানরা দারুণ শুরু করেছিল, যা আমাদের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন…. ছোট থেকে বড়, ডার্বি মানেই মোহনবাগান! ইস্টবেঙ্গল হোক বা মহমেডান, কাউকে সুযোগ দিচ্ছে না সবুজ মেরুন ব্রিগেড
চলতি মরশুমে ‘ফিনিশার’ হিসেবে মিলারের পারফরম্যান্স চমৎকার ছিল। তিনি মিচেল ভ্যান বুরেনের (৪৪ বলে ৪৫ রান) সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৭১ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। লুথো সিপামলাকে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে মিলার ম্যাচ শেষ করেন এবং রয়্যালসকে প্লে-অফের দৌড়ে সবার আগে রয়েছে। ৫ ম্যাচের শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার তারাই।
মিলার বলেন, ‘আমাদের দলে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা আছে এবং আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলি। গত দুই বছরে আমরা দারুণ শুরু করেও শেষটা ভালো করতে পারিনি, সেটি মাথায় রেখেই এবার খেলছি। এখন পর্যন্ত সব দিক থেকেই আমরা প্রস্তুত।’