শুভব্রত মুখার্জি:- আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে কয়েকদিন আগেই নয়া নজির গড়েছেন এস্টোনিয়ার ব্যাটার সাহিল চৌহান। বিধ্বংসী মেজাজে ব্যাটিংটা করেছেন তিনি। মাত্র ২৭ বলে শতরান করে আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম শতরান করে নয়া নজির গড়েছেন সাহিল চৌহান। সাইপ্রাসের বোলারদের বিরুদ্ধে একেবারে খুনে মেজাজে ব্যাট করেছেন তিনি। আর এই নজির গড়ার পরেই তিনি উঠে এসেছেন শিরোনামে। ভারতের এই ক্রিকেটার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেন মুম্বইয়ের হয়ে। এরপরেই ভারতীয় সিনিয়র দলে সুযোগ না পেয়ে তিনি পাড়ি জমান এস্টোনিয়াতে। সেই সাহিল বিশ্বরেকর্ড গড়ার পরে জানালেন তাঁর ক্রিকেটীয় অনুপ্রেরণার নাম। বর্তমান ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকেই নিজের ক্রিকেটীয় কেরিয়ারের অনুপ্রেরণা হিসেবে বেছে নিলেন সাহিল।
আরও পড়ুন-বেঞ্চে যারা আছে তাদের হ্যাটট্রিক আছে....নজির গড়ে তৃপ্ত কামিন্স, দেখুন টাইগার বধের ভিডিয়ো
সোমবার ৩২ বছর বয়সী চৌহান তাঁর ইনিংসে হাঁকান ১৮ টি ছয় এবং ছটি চার। মাত্র ৪১ বলে ১৪৪ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি। আর এই ইনিংস খেলার পথেই তিনি ভেঙে দেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামিবিয়ার ক্রিকেটার জান নিকোল লফ্টির দ্রুততম শতরানের নজির। পাশাপাশি তিনি ভেঙে দিয়েছেন প্রাক্তন ক্যারিবিয়ান তারকা ক্রিস গেইলের নজিরও। গেইল মাত্র ৩০ বলে আইপিএলে শতরান করেছিলেন। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগের ইতিহাস ধরলেও দ্রুততম শতরান করার নজির গড়েছেন সাহিল চৌহান। এই নজির ভাঙার পরেই তিনি ফ্যানকোডকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। জানিয়েছেন ' আমি রোহিত শর্মার খুব বড় ফ্যান। কারণ আমি তাঁকে একদম ছোট থেকে খেলতে দেখেছি। রোহিত শর্মার ব্যাটিংয়ের সবথেকে বড় দিক হল ও ব্যাটিংয়ের সময়ে কোনধরনের কোন চাপ নেয় না। পরিবেশ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ও মাথা ঠান্ডা রাখতে জানে। ধৈর্য্য ধরতে জানে। কিভাবে ব্যাটিংটা করতে হয় সেটা খুব ভালো করে জানে। এটাই ওঁর থেকে শেখার রয়েছে।'
আরও পড়ুন-সুপার ৮-এ ভারত নয়, আফগানিস্তান হেরেছে বুমরাহ-র কাছে! দাবি আফগান কোচের
তিনি আরো যোগ করেন 'পরিবেশ, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন ও কিন্তু নিজের খেলাটা চালিয়ে যায়।আমি ওঁর খেলা দেখে অনেক কিছু শিখেছি। ওঁর হুক শট খেলাটা আমার খুব পছন্দের। ' এরপর নিজের এস্টোনিয়ার হয়ে খেলার বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি জানান ' আমার কাকার কারণেই মূলত আমি এস্টোনিয়াতে এসেছি।এখানে তাঁর ছোট একটি রেস্তোরাঁ ব্যবসা রয়েছে। সেখানেই আমি কাজ করি। ২০১৯ সাল থেকে এখনে আমি খেলা শুরু করেছি। আমি গুগলে এখানকার ক্রিকেটের বিষয়ে খোঁজ খবর নিই। একটা যোগাযোগের নম্বর খুঁজে পাই। আমি তাদেরকে ফোন করে জানতে চাই যে তারা ক্রিকেট খেলে কিনা। উত্তর এসেছিল হ্যাঁ আমরা ক্রিকেট খেলি। তারপর আমি প্রশ্ন করেছিলাম বিষয়টি নিয়ে তারা সত্যি সত্যিই সিরিয়াস কিনা। তার উত্তরে তারা জানায় হ্যা আমরা এটা নিয়ে অবশ্যই সিরিয়াস।আর এরপর থেকেই আমার এস্টোনিয়াতে ক্রিকেট জার্নি শুরু হয়।'
আরও পড়ুন-‘সিরাজ তো খেতে বসেছে’, ভুল নামে ডাকতেই সাংবাদিককে সটান জবাব সূর্যকুমার যাদবের