বাঁ-হাতি স্পিনার, তবে ব্যাটের হাত নিতান্ত মন্দ নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক। খুব কম সময়েই চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্সের সুবাদে তামিলনাড়ু ক্রিকেটের অন্যতম স্তম্ভে পরিণত হয়েছেন। আইপিএল খেলেন। জাতীয় দলের হয়ে ইতিমধ্যেই ৩টি আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচও খেলেছেন। তবে সেই অর্থে জাতীয় দলের ক্রিকেটার বলে এখনও বিবেচিত হন না সাই কিশোর।
তবে সম্ভাবনা রয়েছে বিস্তর। নিজের ধারাবাহিক পারফর্ম্যান্স দিয়েই জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন বলা যায়। অপেক্ষায় রয়েছেন সুযোগের। সেটা নিজে মুখে জানিয়েওছেন। ক'দিন আগেই জাতীয় নির্বাচকদের কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন সাই কিশোর। তাঁর দাবি, এক্ষুনি যদি টেস্টে নামিয়ে দেওয়া হয়, ইতিবাচক পারফর্ম্যান্স মেলে ধরতে প্রস্তুত তিনি।
সাই কিশোর যে যথার্থই প্রস্তুত, নতুন ঘরোয়া মরশুম শুরুর আগে বুঝিয়ে দিলেন আরও একবার। প্রাক মরশুম প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট হিসেবে বিবেচিত হওয়া বুচি বাবু আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টের ২টি ম্যাচে মাঠে নেমে যে রকম চমকে দেওয়া পারফর্ম্যান্স উপহার দিচ্ছেন সাই কিশোর, তাতে জাতীয় নির্বাচকদের পক্ষে খুব বেশিদিন মুখ ফিরিয়ে থাকা কঠিন হবে সন্দেহ নেই।
হরিয়ানার বিরুদ্ধে বুচি বাবুর ম্যাচে টিএনসিএ একাদশের হয়ে দুর্দান্ত বল করেন সাই কিশোর। তিনি প্রথম ইনিংসে ৭৬ রানের বিনিময়ে একাই ৭টি উইকেট দখল করেন। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে নেন ৪৯ রান ২ উইকেট। অর্থাৎ, প্রথম ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট নেন তামিলনাড়ুর ক্যাপ্টেন।
এবার শক্তিশালী মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে একাই দখল করলেন ৫টি উইকেট। সাই কিশোরের ঘূর্ণিতে আত্মসমপর্ণ করেই মুম্বই প্রথম ইনিংসে দেড়শো টপকেই অল-আউট হয়। ফলে প্রথম ইনিংসের নিরিখে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েন শ্রেয়স আইয়ার-সূর্যকুমার যাদবরা।
মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে বুচি বাবুর ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তামিলনাড়ু ৩৭৯ রান তোলে। পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৫৬ রানে। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২২৩ রানে পিছিয়ে পড়ে তারকাখচিত মুম্বই দল।
ওপেনার দিব্যাংশ সাক্সেনা ৭০ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন। সূর্যকুমার যাদব করেন ৩০ রান। ২ রান করে আউট হন শ্রেয়স আইয়ার। মুশির খান ১৬ ও সরফরাজ খান ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তামিলনাড়ুর হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৩.২ ওভার বল করে ৩৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন সাই কিশোর। তিনি সাজঘরে ফেরান মুশির খান, দিব্যাংশ সাক্সেনা, শ্রেয়স আইয়ার, সরফরাজ খান ও রয়স্টোন ডায়াসকে।
সুতরাং, বুচি বাবুর ২টি ম্যাচের ৩টি ইনিংসে বল করে ইতিমধ্যেই ১৪টি উইকেট সংগ্রহ করেছেন সাই কিশোর। ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছেন ২ বার।