জয়ের জন্য হাতে পর্যাপ্ত রদস ছিল, এমনটা বলা যাবে না মোটেও। তবে দেওয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে পালটা লড়াই করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ভারতীয়-এ দল। যদিও শেষ ইনিংসে বোলাররা চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরতে না পারায় অস্ট্রেলিয়া-এ দলের কাছে সিরিজের প্রথম বেসরকারি টেস্টে হারতে হয় রুতুরাজ গায়কোয়াড়দের। আসলে ভারতীয়-এ দলকে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাশুল দিতে হয় এক্ষেত্রে।
জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে অজিদের সামনে ২২৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয় ভারতীয়-এ দল। রান তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া-এ দল তাদের শেষ ইনিংসে সংগ্রহ করে ৩ উইকেটে ১৩৯ রান। চতুর্থ তথা ম্যাচের শেষ দিনে তার পর থেকে পুনরায় ব্যাটিং শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তারা নতুন করে কোনও উইকেট না হারিয়েই অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
অস্ট্রেলিয়া-এ দল শেষ ইনিংসে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১২৬ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৭৮ বলে ৮৮ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাপ্টেন ন্যাথন ম্যাকসুইনি। তিনি ৯টি চার মারেন। ১১৭ বলে ৬১ রান করে নট-আউট থাকেন বিউ ওয়েবস্টার। তিনি ৪টি চার মারেন। এছাড়া মার্কাস হ্যারিস শেষ ইনিংসে ৩৬ রানের কার্যকরী যোগদান রাখেন। ১৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। শেষ ইনিংসে ভারতের হয়ে ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন মুকেশ কুমার, প্রসিধ কৃষ্ণা ও মানব সুতার।
উল্লেখ্য, টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয়-এ দল প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৭ রানে অল-আউট হয়ে যায়। দেবদূত পাডিক্কাল ৩৬, নভদীপ সাইনি ২৩ ও সাই সুদর্শন ২১ রান করেন। অস্ট্রেলিয়ার ব্রেন্ডন ডগেট একাই ৬টি উইকেট দখল করেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া-এ দল তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৯৫ রানে। ন্যাথন ম্যাকসুইনি ৩৯, কুপার কনলি ৩৭ ও বিউ ওয়েবস্টার ৩৩ রান করেন। মুকেশ কুমার ৬টি ও প্রসিধ কৃষ্ণা ৩টি উইকেট দখল করেন। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৮৮ রানে পিছিয়ে পড়ে ভারত।
যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় দল সংগ্রহ করে ৩১২ রান। ১০৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন সাই সুদর্শন। ৮৮ রান করে আউট হন দেবদূত পাডিক্কাল। ৩২ রানের সংক্ষিপ্ত যোগদান রাখেন ইশান কিষান। অজিদের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন ফার্গাস ও'নেইল।