সিরিজের প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে জিম্বাবোয়ের কাছে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে হারতে হয় পাকিস্তানকে। তবে মঙ্গলবার দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে জিম্বাবোয়েকে একতরফাভাবে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। এক্ষেত্রে পাকিস্তানের হয়ে তৃতীয় দ্রুততম ওয়ান ডে শতরান করে ম্যাচের নায়ক হয়ে দেখা দেন সইম আয়ুব।
বুলাওয়েতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে জিম্বাবোয়ে। তারা ৩২.৩ ওভারে মাত্র ১৪৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৩০ বলে ৩৩ রান করেন ডিয়ন মায়ের্স। তিনি ৬টি চার মারেন। ৩৯ বলে ৩১ রান করেন শন উইলিয়ামস। তিনি ২টি চার মারেন।
ক্যাপ্টেন ক্রেগ আরভাইন ৩৫ বলে ১৮ রানের ধীর ইনিংস খেলেন। তিনি ১টি চার মারেন। সিকন্দর রাজা ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া জয়লর্ড গাম্বি ৫, তাদিওয়ানাশে মরুমণি ৪, ব্রায়ান বেনেট ১৪, ব্র্যান্ডন মাভুতা ৩, রিচার্ড এনগারাভা ২, ব্লেসিং মুজারাবানি ১১ ও ট্রেভর অপরাজিত ১ রান করেন।
পাকিস্তানের হয়ে ৮ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন আবরার আহমেদ। ৭ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন আঘা সলমন। ৪ ওভারে ১৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন সইম আয়ুব। ৫.৩ ওভারে ১৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন ফয়জল আক্রম।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৮.২ ওভারে বিনা উইকেটে ১৪৮ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, পাকিস্তান সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ান ডে ম্যাচ জেতে টি-২০ ক্রিকেটের ভঙ্গিতে। ১৯০ বল বাকি থাকতে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতে পাকিস্তান তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়।
শাহিদ আফ্রিদির রেকর্ড ছুঁলেন সইম আয়ুব
ওপেনার সইম আয়ুব ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৫৩ বলে। সাহায্য নেন ১৬টি চার ও ৩টি ছক্কার। পাকিস্তানের হয়ে ওয়ান ডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি যুগ্মভাবে তৃতীয় দ্রুততম শতরান। এই নিরিখে সইম বসে পড়েন শাহিদ আফ্রিদির সঙ্গে একাসনে। আফ্রিদি ২০১০ সালে ডাম্বুলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৫৩ বলে শতরান করেন।
উল্লেখ্য পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম ওয়ান ডে শতরানের রেকর্ড রয়েছে আফ্রিদির নামেই। তিনি ১৯৯৬ সালে নাইরোবিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাত্র ৩৭ বলে শতরান করেন। তালিকার দ্বিতীয় স্থানেও রয়েছে আফ্রিদির নাম। তিনি ২০০৫ সালে কানপুরে ভারতের বিরুদ্ধে ৪৫ বলে শতরান করেন।
এছাড়া জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে ৪৮ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন আবদুল্লা শফিক। তিনি ৪টি চার মারেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সইম।