সদ্য সমাপ্ত বর্ডার গাভাসকর ট্রফির সবচেয়ে বিতর্কিত অধ্যায় স্যাম কনস্টাস এবং বিরাট কোহলির ঝামেলা। ঘটনাটি ঘটেছিল বক্সিং ডে টেস্টের সময়। সেই টেস্টেই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে অভিষেকে হয়েছিল স্যাম কনস্টাসের। ১৯ বছরের এই অজি ব্যাটার নিজের প্রথম ম্যাচেই ভিলেন হয়ে ওঠেন ভারতীয় সমর্থকদের চোখে। ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ মানে উত্তেজনা থাকবে না তা হয় না। ম্যাচের একটা পর্যায় কনস্টাসকে কাঁধে কাঁধ দিয়ে ধাক্কা মারেন বিরাট কোহলি। এরপরেই বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন দুই ক্রিকেটার। রিপ্লেতে দেখা যায় ইচ্ছাকৃতভাবে কোহলিই ধাক্কা মেরেছিলেন। পরবর্তীতে এই জন্য শাস্তি হয় বিরাটের। নিজের ভুলও স্বীকার করেন তিনি। তবে এতো কিছুর পরেও বিরাটকে নিজের আইডল মনে করেন স্যাম। অভিষেকের আগেও তিনি জানিয়েছিলেন সেই কথা।
এখনও বিরাটই আইডল কনস্টাসের:
শেষ হয়ে গেছে বর্ডার গাভাসকর ট্রফি। সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এবার তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। তার আগে বিরাট প্রসঙ্গ আবার উত্থাপন করলেন কনস্টাস। কোড স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, মেলবোর্নের বিতর্কের পর তাঁর সঙ্গে সিডনি টেস্ট শেষে কোহলির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। কনস্টাস জানান, কোহলি খুবই ভালো মনের একজন মানুষ। তিনি বলেন, ‘আমি সিডনি টেস্ট শেষে কোহলির সঙ্গে কিছুক্ষন কথা বলার সময় পেয়েছিলাম। বিরাট কোহলি আমার আইডল। ওঁর বিপক্ষে খেলাটা সম্মানের। আমার পুরো পরিবার তাঁকে খুব ভালোবাসে। সে খুবই ভালো মনের মানুষ। আমি বিরাটকে জানিয়েছি যে আমি তাঁকে আইডল মনে করি। তিনি শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, বলেছেন - আশা করব তুমি ভালো খেলবে।’
মেলবোর্নে ঘটনাটি যা ঘটেছিল:
অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসে কনস্টাস ৬৫ বলে ৬০ রান করেন। ইনিংসে ২টি লম্বা ছক্কাও হাঁকান তিনি। বিতর্কিত ঘটনাটি ঘটে চতুর্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসের দশম ওভারের শেষে। সেই সময় খেলোয়াড়রা পিচ ক্রস করছিলেন। মহম্মদ সিরাজের শেষ বলে সিঙ্গল নেওয়ার পর গ্লাভস খুলে অন্য প্রান্তে ব্যাটিং পার্টনার উসমান খোয়াজার উদ্দেশ্যে এগিয়ে যাচ্ছিলেন কনস্টাস। কোহলি বল সংগ্রহ করে কনস্টাসের দিকে এগিয়ে যান। নবাগত এই ক্রিকেটার দিক বদলাননি, কোহলিও একই লাইনে হেঁটে যান। এরপর দু'জনের ধাক্কা লাগে। কোহলি তখন ঘুরে দাঁড়িয়ে কনস্টাসের উদ্দেশ্য কিছু বলেন। এরপর উসমান খোয়াজা মাঝে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেন। অন ফিল্ড আম্পায়াররাও কথা বলেন কোহলি এবং কনস্টাসের সঙ্গে। ঘটনার জেরে ২০ শতাংশ ম্যাচ ফি কাটা যায় বিরাটের। একই সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও পান তিনি।