আইপিএলে ভুল দলের হয়ে খেলেছেন দঃ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার এবি ডিভিলিয়ার্স, সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর। ২০০৮ সালে আইপিএলের শুরুর মরশুমে তিনি সই করেছিলেন দিল্লি ডেয়ারডেভিলসে। এরপর সেখানে ৩ বছর কাটানোর পর ২০১১ সালে তিনি যোগ দেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে।
দিল্লি হোক বা বেঙ্গালুরুর দল, আইপিএলের শিরোপা জেতা হয়ে ওঠেনি এই প্রোটিয়া তারকার। নিজে ভালো খেলে একাধিক ম্যাচে দলকে জেতালেও ট্র্যাজিক নায়ক হিসেবেই থেকে গেছেন তিনি। নিজের আইপিএল কেরিয়ারে ১৮৪ ম্যাচে ডিভিলিয়ার্স করেছেন ৫১৬২ রান, ব্যাটিং গড় ৩৯.৭১। রয়েছে তিনটি শতরান এবং ৪০টি অর্ধশতরান।
তাঁর পরিসংখ্যান যতটা ভালো সেই অনুযায়ী দলগত সাফল্য তিনি উপভোগ করতে পারেননি। আইপিএলের ইতিহাসে ২৫১টি ছয় মেরে প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ ছয় মারা ব্যাটারদের মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছেন তিনি। ২০১১ এবং ২০১৬ আইপিএল ফাইনালেও খেলেন তিনি। সম্প্রতি বড় মন্তব্য করলেন সঞ্জয় মঞ্জরেকর।
সূর্যকুমার যাদব কি মিস্টার ৩৬০ ডিগ্রি হিসেবে ছাপিয়ে গেছেন ডিভিলিয়ার্সকে। এই প্রশ্নের উত্তরে সঞ্জয় মঞ্জরেকর বলছেন, ‘আমি বল হ্যা, সূর্য ওকে ছাপিয়ে গেছে জয়ের দিক থেকে দেখলে। এবি অসাধারণ ক্রিকেটার। টেস্টে ব্যাটিং গড় প্রায় ৫০। ওডিআইতেও পরিসংখ্যান খুব ভালো। তবে টি২০তে আমি ওদের দুজনকেই দেখেছি। আইপিএলে এবিকে ঠিকঠাক ব্যবহার করা হয়নি। ওকে আরও নিঙড়ে নেওয়া যেত। দুঃখের সঙ্গেই বলতে হয়, ও সঠিক দলের হয়ে খেলে নি। ডিভিলিয়ার্স যদি অন্য কোনও দলের হয়ে খেলত, তাহলে ওর কুশলতা আরও বেশি করে প্রকাশ পেত, এটা আমার মনে হয় ’।
আইপিএলের দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক এবি ডিভিলিয়ার্স। তিনি সেখানে ১৫৬ ম্যাচে করেছেন ৪৪৯১ রান। করেছেন ২টি শতরান এবং ৩৭টি অর্ধশতরান। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গেছে ডিভিলিয়ার্সকে যখন মাঠে নামতে, তখন ম্যাচ কার্যত হাতের নাগালের বাইরে। অনেকক্ষেত্রে ম্যাচ জিতিয়ে দিলেও সব ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয়নি। দলগতি সংহতির অভাবে তাঁর দলও জিততে পারেনি।