মোহনবাগান সুপার জায়ন্ট আর লখনউ সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। অনেক মাথা খাটিয়েই দল বানায় তাঁর দলের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। এমনি এমনিতে মোহনবাগান বিগত তিন বছর ধরে আইএসএলে সাফল্য পাচ্ছেনা। এর পিছনে যে সঠিক প্ল্যানিং আর সেই প্ল্যানিংয়ের বাস্তবায়নও রয়েছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন-‘ ওর ওপর যা রাগ হয়েছিল না…’! বিশ্বকাপ ফাইনালের পর PSGতে মেসি দেখে কি করেন এমবাপে?
রাহুলের সঙ্গে গোয়েঙ্কা বিতর্ক-
এবারের আইপিএলের শেষ ল্যাপে এসে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন এলএসজির কর্তারা সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। নিজের দলের অধিনায়ককে দলের হারের পর দোষারোপ করে মাঠেই বকা দিয়েছিলেন তিনি, এরপর তাঁরও সমালোচনা হয়। কিন্তু লখনউ সুপার জায়ান্টকে নিয়ে তিনি কতটা আবেগপ্রবণ এবং কতটা জেতার মানসিকতা তিনি রাখেন, সেটাই প্রকাশ পেয়েছে তাঁর সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে।
আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গলের পর মহমেডান! বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে সামিল বাংলা...
দলের ব্যাপারে আবেগপ্রবণ গোয়েঙ্কা-
দল কিনে ব্যবসা করলেই শুধু হয় না, জেতার মানসিকতাও থাকতে হয়। এই কথাটা কতটা সত্যি সেটা প্রমাণিত হয়েছে সঞ্জীব গোয়েঙ্কার বিতর্কিত ঘটনায়। সব খারাপের মধ্যেও এই ব্যবসায়ী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছেন ঋষভ পন্তকে দলে নিতে তাঁদের প্ল্যানিং কি ছিল। তাঁর সেই কথা থেকেই পরিষ্কার, দলের সাফল্য নিয়ে তিনি নিজে কতটা ভাবেন। গত তিন বছরে দুবারই এলএসজি প্লে অফে গেছে।
আরও পড়ুন-‘সিরিজের গুরুত্ব অনেক,তাই…' হেড-সিরাজ বিতর্ক স্পোর্টিংলি নিচ্ছেন অজি অধিনায়ক…
পন্তকে নিয়ে আগেই সিদ্ধান্ত এলএসজির-
সঞ্জীব গোয়েঙ্কা পন্তকে ২৭ কোটি টাকায় দলে নেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘পার্থ জিন্দাল পুরো পাগল ঋষভ পন্তের জন্য। আমরা আগে থেকেই পন্তের জন্য নির্দিষ্ট একটা টাকা বাঁচিয়েই রাখব ঠিক করেছিলাম। আমাদের প্ল্যানিংয়ে ও শুরু থেকেই ছিল। আমরা জানতাম ওর বড় দর উঠবে। যখন দেখলাম ২২ কোটির কাছে গিয়ে বিডিং আটকে গেল, তখন দিল্লি এক মূহূর্ত অপেক্ষা না করে পন্তের জন্য আরটিএম লাগাতে গেছিল। তাই তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম, যদি এক ধাপ অতিরিক্ত দাম আমরা দি সেক্ষেত্রে দিল্লি ওকে নিয়ে নেবে। তাই সরাসরি ২৭ কোটির দাম ফেলি, যাতে দিল্লিকে নিতে গেলে অনেকটা দূর যেতে হয় ’।
সঞ্জীব গোয়েঙ্কার অভিজ্ঞতা-
নিলামের টেবিলে প্রতিপক্ষ দলের বাকিদের দিকে কতটা সুক্ষ্ণ নজর রাখতে হয়, সেকথাও বলেছেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। তাঁর কথায়, ‘দিল্লির সঙ্গে পন্তের কি হয়েছে, কেন রিটেন হননি উনি সেটা নিয়ে কথা বলার আমি কেউ নই। কিন্তু পন্তকে দিল্লি নিতে চেয়েছিল এটা একদম স্পষ্ট। সেই কারণে মূহূর্তের মধ্যে ওরা আরটিএমের আবেদন জানায়। ওরা যদি ২-১ মিনিট কথা বলত তাহলে, একরকম ব্যাপার হত। কিন্তু পন্তকে ফেরানো দিল্লির টার্গেটে ছিল বলে সঙ্গে সঙ্গেই ওরা আরটিএম প্রয়োগের চেষ্টা করেছিল। সেই কারণেই দাম নির্ধারণে আমরা ২৭ কোটি করার সিদ্ধান্ত নিই’।