গত বছরের দৃষ্টিকটু ঘটনার পরে মনে হয়েছিল বুঝি লোকেশ রাহুল এবার লখনউ সুপার জায়ান্টস ছাড়তে পারেন। যেভাবে খারাপ পারফর্ম্যান্সের জন্য প্রকাশ্যেই ক্যাপ্টেন রাহুলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন টিম মালিক, তা ভালো চোখে নেয়নি ভারতীয় ক্রিকেটমহল।
তবে গত সোমবার লখনউ মালিক সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে লোকেশ রাহুলের বৈঠকের পরে বদলে যায় সমীকরণ। গুঞ্জন শুরু হয়ে যায় যে, লোকেশকে স্কোয়াডে ধরে রাখতে চলেছে সুপার জায়ান্টস। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্দরমহল থেকে এও ইঙ্গিত মেলে যে, রাহুলকে হয়তো এবার লখনউয়ের ক্যাপ্টেন্সি করতে দেখা যাবে না।
যাবতীয় গুঞ্জনের মাঝে লখনউ ফ্র্য়াঞ্চাইজির তরফে নিশ্চিত কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন টিম মালিক। বুধবার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা আইপিএল ২০২৫-এর প্লেয়ার রিটেনশন ও লোকেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে মুখ খোলেন। যদিও এক্ষেত্রেও রহস্যের মোড়ক বজায় রাখেন তিনি।
লোকেশকে স্কোয়াডে ধরে রাখার সম্ভাবনা নিয়ে গোয়েঙ্কা বলেন, ‘জল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না। তবে এটা বলতে পারি যে, লোকেশ রাহুল পরিবারের সদস্যের মতোই। গত তিন বছর ধরে আমি খেলার সময়ে এবং পরেও নিয়মিতভাবে লোকেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি। এবারের বৈঠক সকলের এমন আগ্রহের বিষয় হবে, সত্যি বলছি এমনটা মোটেও আশা করিনি।'
গোয়েঙ্কা আরও বলেন, 'রাহুল এলএসজি-র অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। একেবারে শুরুর সময় থেক ও এখানে রয়েছ। ব্যক্তিগতভাবে ও আমার কাছে এবং আমার ছেলের কাছে পরিবারের সদস্যের মতোই বিবেচিত হয়।’
উল্লেখ্যে, বুধবারই লখনউ সুপার জায়ান্টস তাদের মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব তুলে দেয় টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসার জাহির খানের হাতে। গৌতম গম্ভীর গত বছর লখনউ ছেড়ে কেকেআর মেন্টরের দায়িত্ব নেন। সেই থেকে নতুন কাউকে এই পদের জন্য খুঁজছিল লখনউ। শেষমেশ জাহিরকেই তাদের যথাযথ বলে মনে হয়।
এদিতে ফ্র্যাঞ্চাইজির অন্দরমহল থেকে আগেই ইঙ্গিত মিলেছে যে, লোকেশ রাহুল নেতৃত্বের চাপ ঝেড়ে ফেলে নিজের খেলায় মন দিতে চান। তাই তিনি এবছর নেতৃত্ব দেবেন না লখনউকে। লোকেশ যদি শেষ পর্যন্ত এলএসজি-র ক্যাপ্টেন্সি না করেন, সেক্ষেত্রে ২ জন ক্রিকেটারের নাম উঠে আসছে নতুন নেতা হওয়ার দৌড়ে।
লখনউয়ের নতুন ক্যাপ্টেন হওয়ার লড়াইয়ে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পুরান ও ভারতের ক্রুণাল পান্ডিয়া, এমনটাই খবর। পুরান ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ক্যাপ্টেন্সি করেছেন। তবে ক্রুণালের ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্বের অভিজ্ঞতা রয়েছে।