সঞ্জু স্যামসন টি-টোয়েন্টিতে পরপর দুটি ম্যাচে শতরানের হাঁকানোর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গিয়েছিল। যে ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) দাবি করা হয়েছিল যে মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা এবং রাহুল দ্রাবিড়রা তাঁর ছেলের কেরিয়ারের ১০ বছর নষ্ট করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন সঞ্জুর বাবা। আর সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে যে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেললেন সঞ্জু, সেই দুটিতেই শূন্য রানে আউট হয়ে গিয়েছেন ভারতের তারকা ব্যাটার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনটি বল খেলেন। কোনও রান করতে পারেননি। আর বুধবার সেঞ্চুরিয়নে দু'বলের বেশি ক্রিজে টিকতে পারেননি ভারতীয় ওপেনার। আউট হয়ে যান শূন্য রানে।
আর তারইমধ্যে বারবার ঘুরেফিরে আসছে সেই ভাইরাল ভিডিয়ো (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা)। মালায়ালি সংবাদমাধ্যম মিডিয়া ওয়ানের সাক্ষাৎকারে সঞ্জুর বাবা সেই মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করা হয়। দাবি করা হয়েছে, ভারতীয় তারকা ক্রিকেটারের বাবা বলেছেন যে ‘তিন-চারজন আছেন, যাঁরা আমার ছেলের গুরুত্বপূর্ণ কেরিয়ারের ১০ বছর নষ্ট করে দিয়েছেন। ধোনিজি, বিরাটজি, রোহিতজির মতো অধিনায়ক এবং দ্রাবিড়জির মতো কোচ (আমার ছেলের কেরিয়ারের ১০ জন নষ্ট করে দিয়েছেন)।’
যদিও সঞ্জুর ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা হল ধারাবাহিকতা। সেই ২০১৫ সালে ভারতের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয়েছিল সঞ্জুর। সেইসময় তাঁর বয়স ছিল ২১। যখন অভিষেক হয়েছিল, তখন সঞ্জুকে অত্যন্ত প্রতিভাবান এবং ভবিষ্যতের তারকা হিসেবে বিবেচনা করা হত। ২০১৫ সালে অভিষেকের পরে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলেন ২০২০ সালে।
ধারাবাহিকতার অভাবে ভোগেন সঞ্জু
তখন সুযোগ পেলেও প্রতিভার প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগতে থাকেন। পরে আইপিএলে ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে ২০২২ সাল এবং ২০২৩ সালের ভারতের হয়ে বেশি সংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে খেলার সুযোগ পান। তাতেও ধারাবাহিকভাবে ভালো পারফরম্যান্স করতে পারছিলেন না। ফলে দলে স্থায়ী হয়নি জায়গা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে থাকলেও একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাননি।
আরও পড়ুন: IND vs SA 3rd T20I: 'আমি আর অভিষেক ২ জনেই চাপে ছিলাম', দুর্দান্ত শতরানের পরে ভয়ের কথা স্বীকার তিলকের
শতরান পেলেও ধারাবাহিকতার অভাব রয়ে গিয়েছে
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা অবসর নেওয়ার পরে ওপেনার হিসেবে খেলানো হতে থাকে সঞ্জুকে। তারপর থেকে ১১টি ম্যাচে খেলেছেন। ৩২৭ রান করেছেন। আর সেটার মধ্যে পরপর দুটি ইনিংসে শতরান আছে।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১১১ রান করেছিলেন সঞ্জু। আর তারপর ১০৭ রান করেন। কিন্তু তারপর ফের দু'বার ব্যর্থ হয়েছেন। অর্থাৎ ধারাবাহিকতার অভাব থেকেই গিয়েছে। সার্বিকভাবে তাঁর টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যানেও সেই ছবিটা ধরা পড়ে। ৩৬টি ম্যাচে ৭০১ রান করেছেন। গড় মাত্র ২৪.১৭।