ধ্রুব জুরেল ঘরোয়া ক্রিকেটে অত্যন্ত ধারাবাহিক। দলীপের মঞ্চে কিপিংয়ে নজর কেড়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চেন্নাই টেস্টের জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে থাকলেও শেষমেশ মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তাঁর। ঋষভ পন্ত দলীপে আগ্রাসী ব্যাটিং করেন। পরে চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসেও ব্যাট হাতে নজর কাড়েন তিনি।
ইশান কিষান বুচি বাবুর পরে দলীপ ট্রফিতেও ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি করেছেন। কেএস ভরত ইন্ডিয়া-বি দলের বিরুদ্ধে দলীপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে লড়াকু ইনিংস খেলেন। ইন্ডিয়া-ডি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে তিনি ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৫ বলে ৫২ রান করে সাজঘরে ফেরেন ভরত। এবার ভারতীয় উইকেটকিপারদের সাফল্যের ভিড়ে আলাদা করে নিজের জাত চেনালেন সঞ্জু স্যামসন। দলীপ ট্রফির তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে দুর্দান্ত শতরান করেন সঞ্জু।
অনন্তপুরে দলীপ ট্রফির তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া-বি দল ও শ্রেয়স আইয়ারের ইন্ডিয়া-ডি দল। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ইন্ডিয়া-ডি দল। তারা প্রথম দিনে ৭৭ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে। ব্যক্তিগত ৮৯ রানে অপরাজিত ছিলেন সঞ্জু স্যামসন। তিনি দ্বিতীয় দিনে পুনরায় ব্যাট করতে নেমে অনায়াসে ব্যক্তিগত শতরান পূর্ণ করেন।
সঞ্জু ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৯ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৯৪ বলে। সাহায্য নেন ১১টি চার ও ৩টি ছক্কার। শেষমেশ ১২টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১০১ বলে ১০৬ রান করে আউট হন সঞ্জু।
ইন্ডিয়া-ডি দল প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৪৯ রানে। তারা ব্যাট করে সাকুল্যে ৮৭.৩ ওভার। স্যামসনের শতরান ও কেএস ভরতের হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন দেবদূত পাডিক্কাল ও রিকি ভুই। পাডিক্কাল ৯৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন। মারেন ৮টি চার। ৮৭ বলে ৫৬ রান করেন রিকি। তিনি ৯টি চার মারেন।
খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। নিশান্ত সিন্ধু ১৯ রান করেন। ২৬ রান করেন সরাংশ জৈন। ১৩ রানের যোগদান রাখেন সৌরভ কুমার। ১১ রান করে মাঠ ছাড়েন আর্শদীপ সিং। ইন্ডিয়া-বি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫টি উইকেট নেন নভদীপ সাইনি। ৩টি উইকেট নেন রাহুল চাহার। ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন মুকেশ কুমার।