আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে ঠাই হয়নি টিম ইন্ডিয়ার তারকা ব্যাটার সঞ্জু স্যামসনের। উইকেটকিপার হিসাবে ঋষভ পন্ত এবং লোকেশ রাহুলকে রাখা হয়েছে দলে। অজিত আগরকরের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক কমিটির স্যামসনকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তটি খুবই বিশ্বয়কর ছিল। জানা যাচ্ছে যে বিজয় হাজারে ট্রফিতে না খেলার কারণেই দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছে তাঁকে। তবে এবার কেরল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সঞ্জুর বাবা। কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে দিয়েছেন তিনি। সঞ্জুর বাবা অভিযোগ করেন যে কেসিএ-র আধিকারিকদের তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনও সমস্যা আছে।
বিজয় হাজারে ট্রফির আগে কেরলের শিবিরে যোগ দেননি সঞ্জু স্যামসন। প্রতিযোগিতার আগে তিন দিনের শিবির করার কথা ছিল কেরল ক্রিকেটারদের। সেখানে সঞ্জু না আসাতেই তাঁকে আর বিজয় হাজারে ট্রফির স্কোয়াডেও রাখেনি কেরল ক্রিকেট সংস্থার নির্বাচকরা। যদিও স্যামসন দাবি করেছিলেন যে তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে শিবিরের জন্য উপলুব্ধ থাকবেন না। কিন্তু কেরল ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি জয়েশ জর্জ অভিযোগ করেন, সঞ্জু এক লাইনে জানিয়েছিলেন যে তিনি অনুশীলন শিবিরে অংশ নেবেন না। আর এই বিষয়টি ভালো ভাবে নেননি জয়েশ।
সঞ্জুর বাবা বিশ্বনাথ বলেছেন, ‘কেসিএ-এর মধ্যে এমন কিছু লোক আছে যাদের আমার ছেলের সঙ্গে কোনও সমস্যা আছে, আমরা আগে কখনও অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে কথা বলিনি, কিন্তু এবার সব সীমা অতিক্রম করে গেছে। সঞ্জু একমাত্র নয় যে ক্যাম্পে যোগ দেয়নি, তবুও একই পরিস্থিতিতে অন্যান্য খেলোয়াড়দের খেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।’ স্যামসনের বাবা অবশ্য কেসিএ-এর সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি চান তাঁর ছেলে যেই সুযোগের যোগ্য সেটা পাক।
বিশ্বনাথ বলেন, ‘এটা জয়েশ জর্জ (কেসিএ সভাপতি) বা বিনোদ এস কুমার (বোর্ড সেক্রেটারি) সম্পর্কে নয়। এর মধ্যে কিছু নিচুতলার আধিকারিকরা যুক্ত রয়েছে যারা একটা সামান্য বিষয়কে বড় করে তুলেছে। আমরা ক্রীড়াবিদ, খেলাধুলার ব্যবসায় আগ্রহী নই। আমি শুধু চাই আমার ছেলেকে যোগ্য সুযোগ দেওয়া হোক। যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তবে আমরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, সঞ্জুর বাদ পড়া নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি জয়েশ জর্জ। তিনি বলেন, ‘সঞ্জু বর্তমানে কলকাতায় আছে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে। এ বিষয়ে আর কিছু বলার নেই। তবে শিবিরে যোগ দিলে ও আবার কেরলের দলে থাকবে। যদি সে ক্যাম্প মিস করে, তবে তাকে বাদ দেওয়া হবে।’