আউট হলেন রোহিত শর্মা। উইকেট নিলেন সৌরভ নেত্রভালকর। ক্যাচ ধরলেন হরমিত সিং। আর সেই তিনজনের ‘কানেকশন’ বা যোগসূত্র দেখলে মনে হবে যে তাঁদের তো ভারতের হয়েই খেলার কথা ছিল। কারণ তিনজনেই একটা সময় মুম্বইয়ের একই দলের খেলেছিলেন। মুম্বইয়ের ক্রিকেট ময়দানের জনপ্রিয় কাঙ্গা লিগের পায়াড়ে স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে খেলতেন রোহিত, নেত্রভালকর এবং হরমিত। শুধু তাই নয়, রোহিত এবং হরমিতের তো আরও একটা ‘কানেকশন’ আছে। বোরিভেলিতে যে স্বামী বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়তেন রোহিত, সেই স্কুলের পড়ুয়া ছিলেন হরমিতও। আর হরমিত তো ভারতের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন রোহিতের জন্যই।
কীভাবে রোহিতের উইকেট নেন সৌরভ?
কিন্তু হরমিতদের সেই স্বপ্নপূরণ হয়নি। তিনি এবং সৌরভ আমেরিকার হয়ে খেলেন। আর বুধবার নিউ ইয়র্কের মাঠে নিজেদের ‘জন্মভূমি’-র বিরুদ্ধে খেলতে নামেন দু'জনেই। ভারতের ইনিংসের ২.২ ওভারে রোহিতকে আউট করে 'বোরিভেলির যুদ্ধে' বাজিমাত করেন সৌরভ।
বলটা কিছুটা সামনের দিকে রাখেন তিনি। লাইনটা নিখুঁত ছিল। মিড-অনের দিকে ঠেলে দিতে গেলেও বলটা ব্যাটের কাণায় লেগে শূন্যে উঠে যায়। সৌরভ যে বলটার গতি কমিয়ে করছেন, সেটা সম্ভবত বুঝতে পারেননি রোহিত। আর বলটাও পিচে পড়ে যেন থমকে যায়। সেজন্যই রোহিত আগে শট খেলে ফেললেও বলটা দেরিতে এসে পৌঁছায়। মিড-অফ থেকে পিছন দিকে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন হরমিত।
সৌরভ ও হরমিতের প্রশংসায় রোহিত
ম্যাচের পরে সৌরভ এবং হরমিতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। তিনি বলেন, ‘ওদের দেখে খুব ভালো লাগছে। ওরা খুব পরিশ্রমী ক্রিকেটার। ওরা আমেরিকার হয়ে খুব ভালো খেলছে। (ক্রিকেটের মঞ্চে) নিজেদের ছাপ রেখে যাচ্ছে।’ ম্যাচ শুরু হওয়ার আগেও দু'জনের সঙ্গেই আলাদাভাবে কথা হয়েছিল রোহিতের।
রোহিতের প্রতি মুগ্ধতা হরমিতের
নিউ ইয়র্কে ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে হরমিত জানিয়েছিলেন যে তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট এসেছে রোহিতকে দেখেই। ২০০৬ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে রোহিতকে খেলতে দেখেছিলেন। তাঁকে দেখেই দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন হরমিত। তিনি বলেন, ‘রোহিত এমন একজন ছিল, যে আমাদের আশা জুগিয়েছিল যে (দেশের হয়ে খেলতে) পারি আমরাও।’
আমেরিকার তারকা হরমিত বলেন, 'ও রকস্টারের মতো খেলতে নামত এবং খুব খেলছিল। ২০০৭ সালে ভারত যখন (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপে জিতেছিল, তখন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। সেইসময় আমি বলেছিলাম যে আমি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলতে চাই। ২০১০ সালে আমার সেই স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। তারপর ফের ২০১২ সালে হয়েছিল।'