দু'জনেই ৩৪ বছরের। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম্যান্স মোটেও মন্দ নয়। তবে নতুনদের জায়গা ছেড়ে দিতেই থেকে সরে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন ঝাড়খণ্ডের দুই তারকা সৌরভ তিওয়ারি ও বরুণ অ্যারন। জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা দুই ক্রিকেটার সোমবার শেষ করলেন নিজেদের ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ার। সৌরভ অবশ্য পেশাদার ক্রিকেট থেকেই সরিয়ে নিলেন নিজেকে।
নক-আউটে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। জামশেদপুরে রাজস্থানের বিরুদ্ধে রঞ্জির এলিট-এ গ্রুপের শেষ ম্যাচটা তাই ঝাড়খণ্ডের কাছে নিছক নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হয়। তবে সৌরভ তিওয়ারি ও বরুণ অ্যারনের শেষ ম্যাচ বলেই রাজস্থানকে হারাতে মরিয়া ছিল ঝাড়খণ্ড। শেষমেশ সেই লক্ষ্যে সফল তারা। রাজস্থানের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় দিয়েই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বিদায় জানায় ঝাড়খণ্ড।
কেরিয়ারের শেষ ম্যাচে সৌরভ তিওয়ারির হাতে নেতৃত্বের দায়ভার তুলে দেয় ঝাড়খণ্ড। সেদিক থেকে নেতা হিসেবে দলকে জিতিয়ে ব্যাট-প্যাড চিরতরে তুলে রাখেন একদা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে মাঠ মাতানো তারকা।
আরও পড়ুন:- IND vs ENG: ‘সেরা তারকাকে’ চতুর্থ টেস্টে বসিয়ে দিতে চলেছে ভারত! দলে ঢুকবেন কে?
জামশেদপুরে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ঝাড়খণ্ড। তারা প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রান তোলে। সৌরভ তিওয়ারি ৬৩ বলে ৪২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। ১১১ বলে ৪৩ রান করেন উৎকর্ষ সিং। রাজস্থানের খলিল আহমেদ ও মহীপাল লোমরোর ৩টি করে উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন মানব সুতার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে রাজস্থান তাদের প্রথম ইনিংসে ২১০ রান তোলে। সলমন খান ১২৯ বলে ৫২ রান করেন। বরুণ অ্যারন ৬৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। সৌরভ শেখর ৩টি ও অনুকূল রায় ২টি উইকেট নেন।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ২২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ঝাড়খণ্ড। তারা ২৬৯ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায়। ১৩৭ বলে ৭২ রান করেন আদিত্য সিং। কুমার কুশাগ্র ২৩, অনুকূল রায় ২১ ও বিরাট সিং ২৮ রান করেন। ২০ রান করেন শাহবাজ নদিম। মানব সুতার, অনিকেত চৌধরী ও অজয় সিং ৩টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ২৪৮ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামে রাজস্থান। তারা নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মোটে ১৫৮ রানে। ৮৯ রানে ম্যাচ জেতে ঝাড়খণ্ড। মহীপাল লোমরোর ৪৮ রান করেন। শেষ ইনিংসে ৩৬ রানে ৫ উইকেট নেন অনুকূল রায়। বরুণ অ্যারন ১টি উইকেট দখল করেন।