আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের পরই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে চলেছেন বর্তমান ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়। তাঁর পরিবর্তে ইতিমধ্যেই কোচ খোঁজা শুরু করে দিয়েছে বিসিসিআই। ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তেমন কোনও ইতিবাচক মুখ এই বিজ্ঞাপনে সাড়া দেননি। বরং ৩০০০-এর বেশি আবেদনে ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরাই উদ্ঘট সব নামে, কোচের পদে আবেদন করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে সচিন তেন্ডুলকর, নরেন্দ্র মোদীর নামও। এই আবহেই বিসিসিআইয়ের তরফে গৌতম গম্ভীরকে কোচ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়। বোর্ড সূত্রে জানা যায় জল্পনা সত্যি হলেও এখনও গম্ভীর তাতে সায় দেননি। এবার এই নিয়েই মুখ খুললেন মহারাজ।
কোচ বাছাইয়ের আবহেই বোমা ফাটালেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। গৌতম গম্ভীর কোচের পদের দৌড়ে এগিয়ে যেতেই, কোচ বাছাই নিয়ে হঠাৎ সাবধানতা অবলম্বন করার বার্তা দিলেন মহারাজ, কিন্তু হঠাৎ কেন? উঠছে প্রশ্ন। রোহিত-বিরাটদের নতুন কোচ প্রসঙ্গে, ট্যুইট করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘একজন ব্যক্তির জীবনের কোচের দায়িত্ব অপরিসীম। কোচের পরামর্শ এবং কঠোর অনুশীলন, মাঠে এবং মাঠের বাইরে একজন ব্যক্তির ভবিষ্যৎ গড়ে দেয়। তাই কোচ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সৎ থাকা উচিত ’ ।
আরও পড়ুন-ফটোশপ নয়, ফটোয় অশ্বিনের থাকাটাই বড় কথা, অদ্ভূত পোস্ট রাজস্থান রয়্যালসের
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের এই ট্যুইট সামনে আসার পরই তোলপাড় পড়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটমহলে। হঠাৎ প্রাক্তন বোর্ড সভাপতির এমন বার্তায় বিসিসিআইও কিছুটা অস্বস্তিতে। যদিও ক্রিকেটমহলের একাংশের মতে, ২০১২ সালে গৌতম গম্ভীর কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। সেই সময় পুনে ওয়ারিয়র্সের হয়ে খেলতে এসেছিলেন দাদা, ইডেন গার্ডেন্স কার্যত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছিল সেই সময়। যদিও তাঁকে সরিয়ে কেকেআরের দায়িত্বে গৌতিকে নিয়ে আসায়, বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি মহারাজ। সেই কারণেই তাঁর এই পোস্ট কিনা, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
আরও পড়ুন-IPL 2024-বিরাটকে খেলার মান কমাতে হবে, রায়াডুর অদ্ভূত যুক্তিতে হতবাক পিটারসেনরা
যদিও অনেকে মনে করছেন, ভারতীয় দলের অন্দরে বিরাট কোহলির সঙ্গে গৌতম গম্ভীরের সম্পর্ক অতটাও ভালো নয়। সেক্ষেত্রে গৌতম গম্ভীর কোচ হয়ে এলে, ভারতীয় ক্রিকেটের পুরোনো সেই গ্রেগ চ্যাপেল বনাম সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো অন্ধকার অধ্যায়ের সূচনা হতে পারে, যেখানে অধিনায়ককে জোর করে বসিয়ে দিতে চেয়েছিলেন কোচ। এরপর দুরন্ত লড়াই দিয়ে মহারাজ দলে ফিরলেও ২০০৭ বিশ্বকাপে নতুন অধিনায়কের নেতৃত্বে ভারত ডাহা ফেল করায় শেষ পর্যন্ত চাকরি গেছিল গ্রেগ চ্যাপেলের। পরে নাইটদের কোচ জন বুকাননের সঙ্গেও মহারাজের সম্পর্ক ভালো ছিল না। তাই এক্ষেত্রে হয়ত তিনি বার্তা দিতে চাইলেন, কোচ বাছাইয়ে তাড়াহুড়ো না করে বরং ধীরে সুস্থে সেই কাজ করুক বিসিসিআই।