প্রথমত, পার্থ টেস্টের পারফর্ম্যান্সের নিরিখে লোকেশ রাহুল অ্যাডিলেড টেস্টেও ওপেন করার সুযোগ পেয়ে যান। রোহিত শর্মা দলে ফিরলেও তিনি ওপেন থেকে না সরানোর সিদ্ধান্ত নেন লোকেশকে। সুতরাং, দলনায়ক তথা টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার মর্যাদা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে অ্যাডিলেডে ওপেন করতে নামেন রাহুল।
দ্বিতীয়ত, চোট পাওয়া জোশ হেজেলউডের পরিবর্তে অস্ট্রেলিয়া অ্যাডিলেড টেস্টে মাঠে নামায় স্কট বোল্যান্ডকে। অবশ্য হেজেলউডের চোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে দেখা যায় বিশেষজ্ঞদের। কারণ যাই হোক না কেন, অ্যাডিলেডে হেজেলউজের জুতোয় পা গলানোর চ্যালেঞ্জ ছিল বোল্যান্ডের সামনে।
অ্যাডিলেড টেস্টে টস জিতে ভারত শুরুতে ব্যাট করতে নামে। যশস্বী জসওয়ালকে নিয়ে ওপেন করতে নামেন লোকেশ রাহুল। যশস্বী ম্যাচের প্রথম বলেই আউট হওয়ায় লোকেশের চাপ আরও বাড়ে সন্দেহ নেই। সেই চাপ স্পষ্ট ধরা পড়ে রাহুলের ব্যাটে। ইনিংসের প্রথম ৭ ওভারে রাহুল নিজের খাতাই খুলতে পারেননি।
অষ্টম ওভারে স্কট বোল্যান্ডকে প্রথমবার বল করতে ডাকেন অজি দলনায়ক প্যাট কামিন্স। তিনি প্রথম বলেই লোকেশকে ফেরত পাঠিয়েছিলেন প্রায়। অর্থাৎ, লোকেশকে ব্যর্থ করে বোল্যান্ড অজি দলনায়কের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার উপক্রম করেন। তবে ভাগ্য এক্ষেত্রে সঙ্গ দেয় লোকেশকে।
৭.১ ওভারে বোল্যান্ডের বলে কট-বিহাইন্ড আউট হন লোকেশ রাহুল। তবে বোল্যান্ড ওভার-স্টেপ করায় সেটি নো-বল হয়। ফলে আউট হয়েও বেঁচে যান লোকেশ। যদিও আল্ট্রা-এজে কোনও স্পাইক ধরা পড়েনি। রাহুল অবশ্য সরাসরি হাঁটা লাগাচ্ছিলেন সাজঘরের দিকে। লোকেশ তখন আউট হলে শূন্য রানে মাঠ ছাড়তেন। তবে নো-বলে সে যাত্রায় বেঁচে যায় রাহুল।
একই ওভারে দ্বিতীয়বার জীবনদান পান রাহুল। ৭.৫ ওভারে বোল্যান্ডের বলে স্লিপে রাহুলের ক্যাচ ছাড়েন উসমান খোয়াজা। লোকেশ সেই সময় আউট হলে ২৪ বলে ২ রান করে মাঠ ছাড়তেন তিনি। তবে সেবারও ভাগ্যের সঙ্গ পেয়ে যান ভারতীয় তারকা। বোল্যান্ড ম্যাচে নিজের প্রথম ওভারেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে উইকেট মিস করেন।
দু'বার জীবনদান পেয়ে লোকেশ রাহুল শেষমেশ ৬৪ বলে ৩৭ রানের লড়াকু ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। তিনি মোট ৬টি চার মারেন। শুভমন গিলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ৬৯ রান যোগ করেন লোকেশ। রাহুল আউট হওয়ার পরেই ভারত অল্প সময়ের মধ্যে শুভমন গিল, বিরাট কোহলিদের উইকেট হারিয়ে বসে।