২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর প্রয়াত হয়েছিলেন অজি ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ। ক্রিকেট মাঠে এরকম মর্মান্তিক পরিণতির সাক্ষী থেকেছিল দুনিয়া। সেদিন শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে ব্যাট করার সময় মাথার পেছনে বলের আঘাত পেয়েছিলেন অজি ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ। এরপর ২ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। মস্তিকের ভেতরের শিরা ছিড়ে যাওয়ায় রক্তক্ষরণ হচ্ছিল হিউজের। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তড়িঘড়ি তাঁর অস্ত্রোপচারও করা হয়েছিল, তবে সব চেষ্টাই বিফল হয়। মাত্র ২৫ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে পরলোকগমন করেন তিনি। সেই ম্যাচে যার বলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল তিনি হলেন সিন অ্যাবট। আজও তিনি সেই অভিশপ্ত দিনের কথা ভুলতে পারেননি।
ফিলিপ হিউজের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে নানা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তাঁর পরিবার এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে। শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচে শনিবার থেকেই ক্রিকেটাররা হাতে কালো ব্যান্ড পরে খেলতে নেমেছে। তেমনই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিল নিউ সাউথ ওয়েলস এবং তাসনামিয়া। বুধবার হিউজকে শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিটের নিরাবতা পালন করা হয়। তখনই দেখা যায় চোখ দিয়ে জল পড়ছে শন অ্যাবটের। নিরাবতা শেষে দ্রুত চোখ মুছে সানগ্লাস পরে নেন তিনি। এখনও যে তিনি সেই দিনটার কথা ভুলতে পারেননি তা স্পষ্ট বোঝাই যাচ্ছিল এদিন।
ফিলিপের পরিবারের তরফে এদিন এক বার্তা দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছে, ‘আজকে আমাদের মূল্যবান ছেলে এবং ভাই ফিলিপ জোল হিউজের মৃত্যুর ১০ বছর পূর্ণ হল। তিনি সর্বদা তার চারপাশের লোকদের হাসাতে ভালো বাসতেন। তিনি জীবনের ছোট ছোট জিনিসগুলি উপভোগ করার লক্ষ্য রাখতেন। হিউজ জীবনের কঠিন সময়েও উজ্জ্বল ছিলেন, যা একজন ব্যক্তি হিসাবে তিনি কে ছিলেন তাঁর প্রমাণ। আমরা তাঁর সম্পর্কে সবকিছুই পছন্দ করতাম। তিনি ছিলেন আমাদের জীবনের আলো। ফিলিপের তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর ভালোবাসা ছিল এবং তিনি তাঁর চারপাশের সকলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন।’
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৩ রানে ব্যাট করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ফিলিপ হিউজ। একটি বাউন্সার বলে শট খেলতে গিয়ে মিস করেন তিনি। তা গিয়ে লাগে মাথার পিছনে। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হিউজ। মুখ দিয়ে শ্বাস ভরে তাঁর জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা হয়। তাতে কাজ না হওয়ায় দ্রুত তাঁকে সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই অস্ত্রোপচার করা হয়, তাপরেই সেখানে দু’দিন কোমার মধ্যে ছিলেন ফিলিপ হিউজ। অবশেষে ২৭ নভেম্বর প্রয়াত হন তিনি।