রবিবারের ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টি-২০ ম্যাচকে কেন্দ্র মাঠের বাইরে উত্তেজনার আবহাওয়া। কোনও রকম অশান্তি এড়াতে আগামী সোমবার পর্যন্ত গোয়ালিয়রে ১৬৩ ধারা জারি করল পুলিশ প্রশাসন। উল্লেখ্য, হিন্দু মহাসভার তরফে ম্যাচের দিন ‘গোয়ালিয়র বনধ’ ডাকা হয়, সমর্থন জানান অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। এরপরই যাতে আইন শৃঙ্খলার অবনতি না হয় সেই দিকে নজর রেখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় প্রশাসনের তরফে। গোয়ালিয়রের জেলাশাসক এবং কালেক্টর রুচিকা চৌহান পুলিশ সুপারের সুপারিশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন, যেখানে উল্লেখ করা হয়- কোনও ধরণের আন্দোলন করা বা উস্কানিমূলক কোনও কিছু ছড়ানো যাবে না। বিশেষত সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। ম্যাচের দিন যাতে কোনও অশান্তি না হয় এবং সুষ্ঠু ভাবে ম্যাচ আয়োজন করা যায় সেদিকেই নজর প্রশাসনের।
বুধবার হিন্দু মহাসভার তরফে ম্যাচ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মূলত তাদের তরফে বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যেরকম ভাবে ‘নৃশংসতা’ চালানো হচ্ছে তার প্রতিবাদ করা হয়। অভিযোগ, বাংলাদেশে আগস্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর সেদেশের সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধি পেয়েছে।তারই প্রতিবাদে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ম্যাচ বাতিলের দাবি তুলে বিক্ষোভ-মিছিল-আন্দোলন করা হচ্ছিল। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ম্যাচকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে এমন ভিডিয়ো, ছবি, ম্যাসেজ ছড়িয়ে আছে। যা সাম্প্রদায়িক উস্কানির কাজ করতে পারে। তাই জন্য সব দিক বিবেচনা করে ১৬৩ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই আন্তর্জাতিক ম্যাচকে কেন্দ্র করে এমন কিছু পোস্ট করে- যাতে ম্যাচ ভণ্ডুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষত্রে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই ভাবে কেউ যদি এমন কিছু পোস্ট করে যাতে অন্যের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত পৌঁছয়, সেক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়ার উল্লেখ আছে। এছাড়াও কোনও ধরণের কুশপুত্তলিকা দাহ বা বিক্ষোভ কোনও কিছু সোমবার পর্যন্ত করা যাবে না। ৫ জনের বেশি একসঙ্গে কোথাও জমায়েত করতে পারবেন না। স্বভাবতই গোয়ালিয়রের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচকে কেন্দ্র করে মাঠের থেকে মাঠের বাইরে এই মুহূর্তে উত্তেজনা বেশি রয়েছে। নতুন করে তৈরি হয়েছে মাধব রাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়াম, সেখানেই খেলা হবে প্রথম টি-২০। ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোতায়েন করা হয়েছে ১৬০০-র বেশি পুলিশ কর্মী। দু’দলের খেলোয়াড়রা সেখানে পৌঁছে গেছেন, তাই কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন।