পাকিস্তান ক্রিকেট দলে একটা সময় নিয়মিত সদস্য ছিলেন শাদাব খান। কিন্তু সম্প্রতি এই স্পিনারকে আর আগের মতো কার্যকরি ভূমিকায় দেখা যায় না। ফলে তাঁর দলের অপরিহার্যতাও কমেছে আগের তুলনায় অনেকটা। এই আবহেই নিজের কেরিয়ার ফের আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনার জন্যই কিংবদন্তি পাকিস্তানি স্পিনারের শরণাপন্ন হলেন শাদাব খান।
আরও পড়ুন-‘আমি কখনও আগে দ্রাবিড়কে এমন উচ্ছাস করতে দেখিনি,আমার জন্যই’! কোন রহস্য ফাঁস অশ্বিনের
কেরিয়ার বাঁচানোর লক্ষ্যে শাদাব-
পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার সাকলেইন মুস্তাক, সাম্প্রতিককালে বহু ক্রিকেটারকেই কোচিং করিয়েছেন। জাতীয় দল থেকে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বিভিন্ন দলেও সাকলেইন মুস্তাককে কোচিং করাতে দেখা গেছে। বোলিংয়ে খুটিনাটি বদলে দিয়ে স্পিনারদের ট্র্যাকে ফেরানোর কাজই করেন তিনি। এবার তাঁর কাছেই নিজের কেরিয়ার বাঁচাতে ছুটলেন শাদাব খান।
Video-ফের ল্যাবুশানের সঙ্গে বেল নিয়ে তুকতাক সিরাজের! কাজে এল! তবে এবার আউট খোয়াজা
তিন ফরম্যাটেই অনিশ্চয়তায় ভুগছেন শাদাব-
সামনে রয়েছে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। পিসিবির নির্বাচকরা বর্তমানে তাঁর দিকে আর দেখছেনই না। এই আবহে ঘরোয়া ক্রিকেটে নজর কেড়ে তিনি চান ফেবরুয়ারিতেই জাতীয় দলে ফিরতে। গতবছর ওডিআই বিশ্বকাপের পর থেকে আর এই ফরম্যাটে খেলেননি শাদাব, বলা ভালো তাঁকে দলে নেয় পাকিস্তান। জুন মাসে টি২০ বিশ্বকাপের পর থেকে তিন ফরম্যাটেই তিনি অনিশ্চয়তায় ভুগছেন।
সাকলেন মুস্তাকের দ্বারস্থ শাদাব-
২৬ বছর বয়সী এই বোলিং অলরাউন্ডার অনেক ম্যাচেই পাকিস্তানকে বাঁচিয়েছেন লোয়ার অর্ডারে নেমে। সেই শাদাব বলছেন, ‘সাকলেইন মুস্তাক একজন অভিজ্ঞ কোচ এবং সফল একজন ক্রিকেটার। পাকিস্তানে হাই পারফরমেন্স সেন্টারে উনি আমায় দায়িত্ব নিয়ে অনেক কিছু শেখাচ্ছেন, আমিও আমার পুরনো খেলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর অনুশীলন করছি। কীভাবে আমার পুরনো বোলিং ফেরানো যায়, তার পাশাপাশি ব্যাটিংয়েও হাত আরও ভালো করার চেষ্টা করছি ’।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দলে ঢোকাই টার্গেট-
সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থাকায়, সেই প্রতিযোগিতার দলে ঢোকাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছেন পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। শাদাব খান বলছেন, ‘আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলতে না পারায় খুবই ক্রিকেটকে মিস করছি। আর সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আসছে। তাই আমি চাই পাকিস্তান দলের নির্বাচকদের সামনে আবারও নিজেকে প্রমাণ করতে যাতে তাঁরা আমায় ফের একবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার সুযোগ করে দেয় ’।