শ্রীলঙ্কাকে দুরমুশ করে এশিয়া কাপের বদলা নেওয়ার পাশাপাশি আইসিসি মহিলা টি২০ বিশ্বকাপেও অক্সিজেন পেয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। টপ অর্ডারের ব্য়াটারদের দুরন্ত পারফরমেনসে ম্যাচ জিততে খুব বেশি কাঠখড় পোড়াতে হয়নি শেফালি-হরমনপ্রীতদের। ম্যাচের পর ওপেনার শেফালি বর্মা প্রশংসায় ভরাচ্ছেন স্মৃতি মন্ধনার অর্ধশতরানের ইনিংসের জন্য।
আরও পড়ুন-টেনিস থেকে অবসর ঘোষণা রাফায়েল নাদালের! নভেম্বরেই শেষবার কোর্টে…অবসান ফেডেরার-রাফা যুগের…
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে মাস্ট উইন ম্যাচে নেট রান রেট বাড়িয়ে নিতে হত ভারত। সেই কাজে সফল হয়েছেন হমনপ্রীত কৌররা। এবার পাল্টা তাঁরা নিউজিল্যান্ডের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলা শুরু করে দিয়েছেন। ম্যাচে ৩৮ বলে ৫০ রান করেন স্মৃতি মন্ধনা। এরপর তিনি রান আউট হয়ে যান, নাহলে রান আরও বাড়তে পারত তাঁর।
চেনা ছন্দে হরমনপ্রীত কৌর…
ওপেনিং পার্টনাশিপে স্মৃতি এবং শেফালি, শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তুলেছিলেন ৯৮ রান, তাও মাত্র ১২.৪ ওভারে। এরপর হরমনপ্রীত কৌর খেলা ধরে যেখানে স্মৃতি শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করেন। চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরেই নিজের চেনা ছন্দে দেখা যায় হরমনপ্রীত কৌরকে। তিনি করেন ২৭ বলে ৫২ রান। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটারদের মধ্যে এটি দ্রুততম শতরান টি২০ বিশ্বকাপে।
স্মৃতির প্রশংসায় শেফালি বর্মা…
ম্যাচে পর সাংবাদিক সম্মেলনে এসে শেফালি বর্মা বলছিলেন,আগে থেকে ক্রিকেটাররা কোনও কিছুই স্থির করে মাঠে যায় না। পরিস্থিতি বুঝেই খেলতে হয়। শেফালি বলছেন, ‘আমার আর স্মৃতির মধ্যে ভালো যুগলবন্দি রয়েছে, আর সাফল্যের কারণ হল আমরা কেউ আগে থেকে কিছু ভেবে মাঠে যাই না। সেদিন যার ব্যাটে বল ভালোভাবে কানেক্ট হয়, আমরা চেষ্টা করি সিঙ্গস নিয়ে তাঁকে আরও বেশি করে ব্যাট করতে দিতে ’।
দুবাইয়ের মাঠ বড় তাই কম ছয়…
শেফালি আরও বলছেন, ‘স্মৃতি স্পিনারদের ভালো খেলছিল, আর আমরা সব সময়ই চাই ভালো স্টার্ট দিতে। যাতে দলের বড় রান তুলতে সুবিধা হয়। মাঠ খুব বড় ছিল, তাই শুরুর দিকে খুব বেশি রান উঠছিল না। আমরা চাইছিলাম জোরে দৌড়ে, যত বেশি সম্ভব সিঙ্গলসকে ডবলসে কনভার্ট করতে। আমার মনে হয়, মাঠটা ৭০ মিটারের ছিল। তাই বাউন্ডারি মারতে আর মাঠের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। শারজাহের ম্যাচের আগে তিনদিন ছুটি আছে হাতে। আমরা ওই ম্যাচেই মনোনিবেশ করব, এবং আমরা যদি নিজেদের সেরাটা দিতে পারি, তাহলে নিশ্চয়ই জিতব’।