ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার বিরুদ্ধে রাগ মেটালেন শেফালি বর্মা। সোমবার সিনিয়র উইমেন্স ওয়ান ডে ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান শেফালি। অক্ষেপ একটাই যে নিশ্চিত ডাবল সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন হরিয়ানার ক্যাপ্টেন।
রাজকোটে টস জিতে হরিয়ানাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাংলার ক্যাপ্টেন সাইকা ইশাক। যদিও ব্যাটিং পিচে শেফালিদের শুরুতে ব্যাট করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত কতটা সঠিক, সেই বিষয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
শেফালি বর্মা ওপেন করতে নেমে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান মাত্র ৬১ বলে। সাহায্য নেন ১২টি চার ও ৬টি ছক্কার। শেফালি ১৯টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে দেড়শো রানের গণ্ডি টপকান ৯২ বলে।
শেষমেশ ২২টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ১১৫ বলে ১৯৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন শেফালি। অর্থাৎ, মাত্র ৩ রানের জন্য দ্বিশতরান হাতছড়া হয় তাঁর। সব মিলিয়ে এমন বিধ্বংসী ইনিংসে মোট ৩৩টি চার-ছয় মারেন শেফালি।
হরিয়ানার হয়ে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন অপর ওপেনার রীমা সিসোদিয়া। তিনি ৭২ বলে ৫৮ রান করে মাঠ ছাড়েন। মারেন ৮টি চার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দিয়া যাদব মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। ১১ বলের ইনিংসে তিনি ১টি চার মারেন।
চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন ত্রিবেণী বশিষ্ট। তিনি ৫৫ বলে ৪৬ রান করে আউট হন। মারেন ৫টি বাউন্ডারি। পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে আগ্রাসী অর্ধশতরান করেন সোনিয়া মেন্ধিয়া। তিনি ৪১ বলে ৬১ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা। ৭ বলে ৪ রান করে নট-আউট থাকেন তানিশা।
হরিয়ানা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩৮৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। বাংলার হয়ে টি সরকার ১০ ওভারে ৫৬ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। ১০ ওভারে ৬৩ রান খরচ করে ১টি উইকেট দখল করেন মিতা পাল। রান-আউট হন হরিয়ানার একজন ব্যাটার। বাংলার ক্যাপ্টেন সাইকা ইশাক ১০ ওভারে ৭৩ রান খরচ করেও উইকেট তুলতে পারেননি। ধারা গুজ্জর ৭ ওভারে ৫১ রান খরচ করেও উইকেটহীন থাকেন।