রিটেনশনের নিয়ম নিয়ে 'উত্তপ্ত' হয়ে উঠল আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের বৈঠক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মেগা নিলামের বিরোধিতা করে নিজের যুক্তি পেশ করছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) মালিক শাহরুখ খান। কতজন খেলোয়াড়কে রিটেন করা হবে, তা নিয়ে একটা সময় পঞ্জাব কিংসের সহ-মালিক নেস ওয়াদিয়ার সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন কেকেআরের মালিক। শাহরুখ রিটেনশনের সংখ্যা বেশি রাখার পক্ষে ছিলেন। আর ঠিক উলটো বিষয়টি চাইছিলেন পঞ্জাবের সহ-মালিক। যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিসিআই। পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে।
শাহরুখের পাশে কাব্য মারানও
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শাহরুখ যে কেন বেশি সংখ্যক খেলোয়াড়কে রিটেন করতে চাইছেন, সেটা বুঝতে একেবারেই কসরত করতে হবে না। ২০২৪ সালের আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল শাহরুখের দল কেকেআর। স্বভাবতই সেই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে চাইবে নাইট কর্তৃপক্ষ। আর সেটা চাইছে ২০২৪ সালের আইপিএলের রানার্স-আপ সানরাইজার্স হায়দরাবাদও।
সূত্র উদ্ধৃত করে ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে বুধবার আইপিএল মালিকদের বৈঠকে শাহরুখের পাশে দাঁড়িয়েছেন সানরাইজার্সের কাব্য মারানও। বৈঠকের পরে কাব্য বলেছেন, ‘একটা দল তৈরি করতে অনেক সময় লাগে। তরুণ খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞ করে তুলতে অনেক সময় এবং বিনিয়োগ করতে হয়। অভিষেক শর্মা যে ধারাবাহিক হয়ে উঠেছে, সেজন্য তিন বছর লেগেছে। আপনি নিশ্চয়ই একমত হবেন যে অন্যান্য দলেও এরকম অনেক উদাহরণ আছে।’
অন্যদিকে, গত আইপিএলে নবম স্থানে শেষ করেছিল প্রীতি জিন্টাদের দল পঞ্জাব। তাই নিজেদের দলকে পুরোপুরি ভেঙে ফেলে অন্য দল থেকে খেলোয়াড় নিতে চাইছেন ওয়াদিয়ারা। আর রিটেনশনের সংখ্যা যত কম হবে, তত পঞ্জাবের লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
IPL মালিকদের বৈঠক নিয়ে কী জানিয়েছে BCCI?
বুধবার বৈঠকের শেষে বিসিসিআইয়ের তরফে সরকারিভাবে বেশি কিছু জানানো হয়নি। রিটেনশন নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে, মেগা নিলাম হবে কিনা, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি ভারতীয় বোর্ড। সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ভারতীয় বোর্ডের তরফে শুধুমাত্র জানানো হয়েছে যে খেলোয়াড়দের রিটেনশন এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে মালিকরা মতামত দিয়েছেন। তাঁরা যে যে সুপারিশ করেছেন, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।