স্টেজে কিং খান থাকা মানেই বাড়তি রং যোগ হয়। আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হল না। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শ্রেয়া ঘোষালের মন ছুঁয়ে যাওয়া গান, দিশা পাটানির দুর্দান্ত নাচের পারফরম্যান্সের সঙ্গে করণ আউজলার সুরে মেতে উঠেছিল নন্দন কানন। আর সেই উচ্ছ্বাসকে আরও বাড়িয়ে দিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের কর্ণধার শাহরুখ খান। বাঙালির মন তিনি আলাদা করে জয় করে নিলেন ঝরঝরে বাংলা বলে।
আরও পড়ুন: IPL 2025-এর আগেই বড় ধাক্কা খেল DC, প্রথম দুই ম্যাচে হয়তো পাওয়া যাবে না রাহুলকে
ঝরঝরে বাংলা বললেন শাহরুখ
করণ আউজলার গানের পর ইডেনে দেখা যায় অ্যানামরফিক প্রোজেকশন। তার মাধ্যমে প্রতিটি দলের লোগো ফুটে ওঠে মাঠে। এর পরেই স্টেজে আসেন শাহরুখ। তিনি স্টেজে উঠে প্রথমেই ঝরঝরে বাংলায় বলেন, ‘কলকাতা কেমন আছো’… তাঁর এই কথাতেই আবেগপ্রবণ বাংলা এবং বাঙালি। তার পর তো নিজের খোলস থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে এসে আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ করলেন আলাদা রং।
নাচালেন কোহলি-রিঙ্কুকে
মঞ্চে আসার পর প্রথমেই বিরাট কোহলিকে ডেকে নেন তিনি। তার পর কেকেআরের রিঙ্কু সিং-কে ডাকেন শাহরুখ। কোহলির কাছে কিং খান জানতে চান, তাঁদের গোল্ড জেনারেশনের মতো কি নতুন প্রজন্ম (যাকে বোল্ড জেনারেশন বলা হচ্ছে) হতে পারবে? জবাবে কোহলি বলেন, নতুন প্রজন্ম যতই ভাল হোক না কেন, তাঁরা থেকে যাবেন। রিঙ্কু আবার পাল্টা বলেন, তাঁরাও কোনও অংশে কম নন। তখন শাহরুখ মজা করে বলেন, গোল্ড ও বোল্ড-এর মধ্যে তিনি ওল্ড জেনারেশনের সদস্য। তা শুনে সকলেই হেসে ফেলেন।
আরও পড়ুন: ইডেনে ফের দেখা হতেই রিঙ্কুর থেকে ব্যাট লুকোলেন কোহলি? নেটপাড়ায় ভিডিয়ো হল ভাইরাল
শুধু কথোপকথনেই থামলেন না শাহরুখ। তিনি রিঙ্কু এবং কোহলিকে নাচিয়ে ছাড়লেন। রিঙ্কুকে প্রথমে ‘লুট পুট গয়া’ গানে নাচালেন বলিউডের বাদশাহ। তা দেখে হেসে ফেলেন কোহলি। পরে ‘পাঠান’ গানের সঙ্গে কোহলিকে জোর করে নাচান শাহরুখ। তাঁদের নাচ দেখে গোটা ইডেন হাততালি দিয়ে ওঠে। আর এই নাচের ভিডিয়োও সঙ্গে সঙ্গে নেটপাড়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
শাহরুখ এর পর একে একে বোর্ডকর্তাদের মঞ্চে ডেকে নেন। বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি, সচিব দেবজিৎ শইকিয়া, আইপিএলের চেয়ারম্যান অরুণ ধুমালদের সঙ্গে মঞ্চে আসেন শ্রেয়া, দিশা এবং করণও। এর পর ট্রফি নিয়ে মঞ্চে আসেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পতিদার। সেখানে তাঁরা জানিয়ে দেন, দলকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্যে নামবেন। কোহলিকে ১৮ বছরের জন্য একটি বিশেষ স্মারক তুলে দেওয়া হয়। তার পরে কেক কাটেন সকলে। শেষে জাতীয় সঙ্গীত দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।