দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে জেতা ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় বাংলাদেশকে। তবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কোনও ভুল করেননি নাজমুল হোসেন শান্তরা। শাকিব আল হাসান ও রিশাদ হোসেনের যুগলবন্দিতে ডাচদের বিরুদ্ধে দাপুটে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ এবং সেই সুবাদে টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২৪-এর সুপার এইটের পথে এক পা বাড়িয়ে রাখে।
বৃহস্পতিবার কিংসটাউনে ডি-গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস। বৃষ্টির জন্য ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। টস জিতে নেদারল্যান্ডস দলনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস শুরুতে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে ২টি উইকেট হারালেও সংগ্রহ করে ৫৪ রান। তারা দলগত ১০০ রানের গণ্ডি টপকায় ১৪ ওভারে। শেষমেশ শাকিব আল হাসানের হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে।
শাকিব ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৯টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৬ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ওপেনার তানজিদ হাসান ২৬ বলে ৩৫ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ ২১ বলে ২৫ রানের যোগদান রাখেন। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ১৪ রান করে অপরাজিত থাকেন জাকের আলি। ক্যাপ্টেন নাজমুল হোসেন শান্ত ১ রান করে আউট হন। ব্যক্তিগত ১ রানে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। ১৫ বলে ৯ রান করেন তৌহিদ হৃদয়।
আরও পড়ুন:- T20 বিশ্বকাপের মাঝেই দুই ক্রিকেটারকে দেশে ফেরাচ্ছে ভারত- রিপোর্ট
নেদারল্যান্ডসের হয়ে ৪ ওভারে ১৫ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন পল ভ্যান মিকেরেন। ৪ ওভারে ১৭ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত। ৩ ওভারে ২৬ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন টিম প্রিঙ্গল।
পালটা ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডসও পাওয়ার প্লে-তে ২টি উইকেট হারায়। তবে তারা ৬ ওভারে মাত্র ৩৬ রান সংগ্রহ করে। ডাচরা ১০০ রানের গণ্ডি টপকায় ১৩.২ ওভারে। শেষমেশ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৪ রানে আটকে যায় নেদারল্যান্ডস। ২৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
ডাচদের হয়ে ২২ বলে ৩৩ রান করেন সাইব্র্যান্ড। ১৬ বলে ২৬ রান করেন বিক্রমজিৎ সিং। ২৩ বলে ২৫ রান করেন ক্যাপ্টেন স্কট এডওয়ার্ডস। এছাড়া মাইকেল লেভিট ১৮ ও ম্যাক্স ও'দাউড ১৮ রান করেন। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন আরিয়ান দত্ত।
বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন রিশাদ হোসেন। তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ২টি উইকেট দখল করেন। ১টি করে উইকেট নেন মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান ও মাহমুদুল্লাহ। শাকিব ৪ ওভারে ২৯ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি। যদিও দুরন্ত হাফ-সেঞ্চুরির জন্য ম্যাচের সেরা হন শাকিব।
এই জয়ের সুবাদে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। নিজেদের শেষ গ্রুপ ম্যাচে নেপালকে হারালেই সুপার এইটে প্রবেশ করবে তারা। নেদারল্যান্ডস যদি শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে যায়, তা হলে নতুন করে কোনও ম্যাচ না জিতেই পরের রাউন্ডে চলে যাবেন শান্তরা। সেক্ষেত্রে নেপালকে হারতে হবে ১টি ম্যাচ।