ভারত সফরে আসার আগে কাউন্টি ক্রিকেটে নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে রাখলেন শাকিব আল হাসান। তারকা অল-রাউন্ডার সারের হয়ে কাউন্টি ম্যাচে মাঠে নেমেই চমকে দেওয়া বোলিং পারফর্ম্যান্স উপহার দেন। যদিও ব্যাট হাতে প্রায় কিছুই করে দেখাতে পারেননি শাকিব। তাঁর দল শেষ ইনিংসে ভয়ানক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ম্যাচ হারে। ফলে শাকিবকে ট্র্য়াজিক হিরো হয়ে থেকে যেতে হয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের পরেই শাকিব সারের হয়ে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে ইংল্যান্ডে উড়ে যান। টনটনে সামারসেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে সারে। এই ম্যাচের দুই ইনিংসে দুর্দান্ত বল করেন শাকিব আল হাসান। তিনি প্রথম ইনিংসে ৩৩.৫ ওভার বল করে ৭টি মেডেন-সহ ৯৭ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে শাকিব ২৯.৩ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ ৯৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট পকেটে পোরেন। সুতরাং, ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৯টি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১২ রান করে আউট হন শাকিব। দ্বিতীয় ইনিংসে খাতাই খুলতে পারেননি বাংলাদেশের তারকা অল-রাউন্ডার।
সারে বনাম সামারসেট ম্যাচের ফলাফল
টনটনে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সামারসেট। তারা প্রথম ইনিংসে ৩১৭ রান তোলে। ১৩২ রান করেন টম ব্যান্টন। আর্চি ভন ৪৪, টম অ্যাবেল ৪৯ ও জেমস রিউ ৩৮ রানের যোগদান রাখেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সারে তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩২১ রান। টম কারান ৮৬, রায়ান প্যাটেল ৭০, বেন গেডস ৫০ ও বেন ফোকস ৩৭ রান করেন। আর্চি ভন ৬টি ও জ্যাক লিচ ৪টি উইকেট নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সামারসেট ২২৪ রান তোলে। ক্রেগ ওভার্টন ৪৯ রান করেন। ৪৬ রান করেন টম ব্যান্টন। জেমস রিউ করেন ২৯ রান। জয়ের জন্য সারের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২২১ রানের।
শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সারে একসময় ৩ উইকেটে ৯৫ রান তুলে ফেলে। তবে তার পরেই তাদের ইনিংসে ধস নামে। সারে শেষ ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ১০৯ রানে। অর্থাৎ, ১৪ রানের মধ্যে শেষ ৭টি উইকেট হারায় সারে। ডমিনিক সিবলি ৫৬ রান করেন। সামারসেট ১১১ রানে ম্যাচ জেতে।