টি-২০ ক্রিকেটে ১৫৯ রান চ্যালেঞ্জিং সন্দেহ নেই। তবে ম্যাচ যদি হয় বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে, তাহলে ১৬০ রানের টার্গেটকে নিতান্ত ছোটখাটো মনে হওয়াই স্বাভাবিক। তাই এত কম রানের পুঁজি নিয়ে ম্যাচ জিততে হলে শুরুতেই প্রতিপক্ষ দলে আঘাত হানা জরুরি। শুরুতেই উইকেট তুলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের চাপে না রাখলে ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যাওয়া কেবল সময়ের অপেক্ষা হয়ে দাঁড়ায়।
সোমবার চিন্নাস্বামীতে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে মাঠে নামে বাংলা ও চণ্ডীগড়। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে বাংলা সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৫৯ রান। সুতরাং, ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট সংগ্রহ করতে চণ্ডীগড়ের দরকার ছিল ১৬০ রান।
এমন পরিস্থিতিতে পালটা ব্যাট করতে নামা চণ্ডীগড় শিবিরে প্রাথমিক আঘাত হানতে সক্ষম হয় বাংলা। প্রথম ওভারেই মহম্মদ শামির বলে আউট হন চণ্ডীগড়ের ওপেনার আর্সলান খান। প্রথম ওভারে শামির তৃতীয় বলে লেগ-সাইডে সরে গিয়ে রুম বানানোর চেষ্টা করেন আর্সলান। তবে বিচক্ষণ শামি বাঁ-হাতি ব্যাটারকে শট খেলার জায়গাই দেননি।
শামি ব্যাটারকে অনুসরণ করে শরীরের কাছে বল রাখেন। আর্সলান পয়েন্টের উপর দিয়ে বল তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে শরীরের কাছের বলে শট খেলার জন্যই শটে গতি ছিল না। বল হাওয়ায় ভেসে যায়। ফিল্ডার শাকির হাবিব গান্ধী বলের পিছনে ধাওয়া করে শরীর ছুঁড়ে দেন। ডাইভ দিয়ে অনবদ্য ক্যাচ ধরেন তিনি। সুতরাং, আর্সলানের উইকেটের জন্য বোলার শামির মতোই সমান কৃতিত্ব প্রাপ্য ফিল্ডার শাকিরের।
বাংলা বনাম চণ্ডীগড় ম্যাচের ফলাফল
নিতান্ত বড় রানের পুঁজি না থাকা সত্ত্বেও বাংলা শেষ ওভারের থ্রিলারে চণ্ডীগড়কে ৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে হারিয়ে দেয়। বাংলার ৯ উইকেটে ১৫৯ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে চণ্ডীগড় আটকে যায় ৯ উইকেটে ১৫৬ রানে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১১ রান দরকার ছিল চণ্ডীগড়ের। সায়ন ঘোষের শেষ ওভারে মোটে ৭ রান তোলে তারা। উইকেট হারায় ২টি।
বাংলার জয়ে ব্যাটে-বলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মহম্মদ শামি। তিনি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭ বলে ৩২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৩টি চার ও ২টি ছক্কা। পরে ৪ ওভার বল করে ১৫ রানের বিনিময়ে ১টি উইকেট তুলে নেন শামি। যদিও ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সায়ন ঘোষ। তিনি ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে ৪টি উইকেট সংগ্রহ করেন।