শুভব্রত মুখার্জি:- একটা সময় ছিল যখন লাল বলের ক্রিকেটকে শাসন করতেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা। বিশ্বের যে কোন প্রান্তের ২২ গজে ব্যাটারদের জন্য তারা ছিলেন যেন বিভীষিকা।এরপর কোর্টনি ওয়ালশ,কার্টলে অ্যাম্ব্রোসরা অবসর নেওয়ার পরে মাঝের প্রায় এক দশক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই পেস বোলিং দাপট দেখতে পাওয়া যায়নি। সেই দাপট যেন এবার কিছুটা হলেও ফেরার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে পেসার শামার জোসেফের হাত ধরে।
গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দল। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টেস্ট কুইন্স পার্ক ওভালে ড্র হিসেবেই শেষ হয়েছিল।আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসেই বল হাতে বিধ্বংসী ফর্মে ধরা দিলেন শামার জোসেফ।টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আর এরপরেই শামার জোসেফের আগুনে বোলিংয়ে একেবারে টালমাটাল অবস্থা তাদের ব্যাটারদের।
আরও পড়ুন-গাড়ি দুর্ঘটনার পর প্রকাশ্যে এল ফ্লিনটফের ছবি! চিনতেই পারবেন না তারকাকে, আসবে চোখে জলও
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে একটা সময়ে স্কোর দাঁড়িয়েছিল ৯ উইকেটে ৯৭ রান। যার মধ্যে জোসেফ একাই নেন পাঁচটি উইকেট। শামার জোসেফের আগুনে বোলিংয়ে মেরুদন্ড ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের। এরপর নান্দ্রে বার্গার এবং ডেন পিয়েডিটের ব্যাট হাতে লড়াইয়ের ফলে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাদের দলীয় রান পেরিয়ে যায় ১৫০। তবে জোসেফের দাপুটে বোলিং পারফরম্যান্সের সামনে এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার টপ অর্ডার ব্যাটাররা দাঁড়াতেই পারেননি।এইডেন মার্করাম থেকে তেম্বা বাভুমার মতন প্রথিতযশা ব্যাটারদের এদিন কার্যত কাঁদিয়ে দিয়েছেন জোসেফ।
আরও পড়ুন-T20 বিশ্বকাপের দল থেকে বাদের জবাবটা মাঠেই দিতে চান বিরক্ত স্মিথ!খেলবেন আইপিএলেও!
দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করাম,তেম্বা বাভুমা,ডেভিড বেডিংহাম,কাইল ভেরেইন এবং কেশব মহারাজকে এদিন আউট করেছেন জোসেফ। মার্করাম ১৪,বাভুমা ০,বেডিংহাম ২৮,ভেরেইন ২১ এবং মহারাজ ০ রান করে আউট হয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা শেষ উইকেট জুটিতে ৬৩ রান যোগ করে। ফলে শেষ পর্যন্ত তারা ১৬০ রান করতে সমর্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশে অশান্তির জের! মহিলাদের টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তাব! নাকচ বিসিসিআইয়ের
শামার জোসেফ এদিন ১৪ ওভার বল করেছেন।চারটি মেডেন ওভার দিয়েছেন। পাশাপাশি ৩৩ রান দিয়েছেন।নিয়েছেন পাঁচটি উইকেট। অন্যদিকে জেইডেন সিলস ৪৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ টি উইকেট। জেসন হোল্ডার এবং গুড়াকেশ মোতি পেয়েছেন একটি করে উইকেট।