গতবছর থেকে মাঠের বাইরে রয়েছে মহম্মদ শামি। ২০২৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে দীর্ঘ লড়াইয়ের পরেও এখনও ফেরা হয়ে ওঠেনি মাঠে। সম্প্রতি সুস্থ হয়ে ওঠার ইতিবাচক লক্ষণ দেখা গেলেও, শামিকে রঞ্জি ট্রফির পরবর্তী দুটি ম্যাচের জন্য বাংলার দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, যেখানে তারা কর্ণাটক এবং মধ্যপ্রদেশের মুখোমুখি হবে। গত মাসে শামি একটি ইভেন্টে উল্লেখ করেছিলেন যে তিনি পুরো দমে আবার বোলিং শুরু করেছেন এবং রিকভারি প্রক্রিয়াটি ভালো ফলাফল দিচ্ছে। তবে, বাংলার দলে তাঁর অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে তিনি এখনও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলার জন্য প্রস্তুত নন।
অভিজ্ঞ এই খেলোয়াড় এর আগে জানিয়েছিলেন, ২২ নভেম্বর থেকে পার্থে শুরু হতে যাওয়া বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবেন কি না তা ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের উপর নির্ভর করছে। উল্লেখ্য, এই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড ওভালে খেলা হবে এবং এটি দিন-রাতের টেস্ট ম্যাচ হবে। এর পরে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচটি ১৪ থেকে ১৮ ডিসেম্বর ব্রিসবেনে দ্য গাব্বাতে অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্থ তথা বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৬ থেকে ৩০ ডিসেম্বর মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। সিরিজের পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ৩ থেকে ৭ জানুয়ারি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে।
ভারতের এই পেসার গোড়ালিতে চোট পেয়েছিলেন, যা তাঁকে নভেম্বর থেকে মাঠ থেকে দূরে থাকতে বাধ্য করেছিল। তিনি ওডিআই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ছিলেন, মাত্র ৭টি ম্যাচে তিনি ২৪টি উইকেট নিয়েছিলেন, গড় ১০.৭০ এবং ইকোনমি রেট ৫.৭০। টুর্নামেন্টে তাঁর সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৭/৫৭। তিনি টুর্নামেন্টে মোট ৩ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন।
অভিমন্যু ইশ্বরণের অনুপস্থিতিতে বাংলার দলকে নেতৃত্ব দেবেন অনুষ্টুপ মজুমদার। ইশ্বরণ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় রয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া এ-এর বিরুদ্ধে ভারত-এ দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন৷ সফরে ইশ্বরণের সঙ্গে রয়েছেন বাংলার অভিষেক পোড়েল এবং মুকেশ কুমার৷ এছাড়াও ভারতের টেস্ট দলে থাকার কারণে দলে নেই আকাশদীপও। তিনি নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। এতজন প্রথম একাদশের খেলোয়াড়কে না পাওয়া বাংলার জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। এখন দেখার এই পরিস্থিতিতে তারা পরবর্তী দুটি রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে কী করে দেখায়।