ভারতের পর এবার ঘরের মাঠে সাউথ আফ্রিকার কাছে লজ্জাজনক হার বাংলাদেশের। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ভূমিকা নিয়ে। তিনি অধিনায়ক থাকবেন কী থাকবেন না তা সময় বলবে। শান্তর সঙ্গে কথা বলবেন বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ। তারপরেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। হয়তো বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে হারের পর দ্বিতীয় টেস্টেও এক ইনিংস এবং ২৭৩ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশে। ফলো-অন করেও প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংসে করা রান টপকাতে পারেননি শান্তরা। ম্যাচ শেষে এই বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান বাংলাদেশের অধিনায়ক।
অধিনায়ক হওয়ার ফলে তাঁর নিজের পারফরম্যান্সের উপর কী নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে? এই বিষয়ে শান্ত বলেন, ‘ব্যাটিং করার সময় আমার কখনও মনে হয়নি আমি অধিনায়ক। অধিনায়ক বলে সব আমাকে একা করতে হবে, এমন নয়। আমি বল অনুযায়ী ব্যাটিং করি, নিজের খেলা উপভোগ করি। এখনও পর্যন্ত বাড়তি চাপ অনুভব হয়নি’। তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেও অনেক জায়গায় বলেছি, অধিনায়কত্ব আমি সবসময় উপভোগ করি। গত কয়েকটি সিরিজও মাঠের ভেতরে আমি উপভোগ করেছি। এটা সব সময়ই আমার ভালো লাগার জায়গা’। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৩ দিনেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। পাকিস্তানে গিয়ে পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের মাটিতেও তাদের হারতে হয়েছিল। এরকম লাগাতার ব্যর্থতা কেন হচ্ছে বলতে গিয়ে শান্ত বলেন, ‘এটা অবশ্যই অত্যন্ত হতাশাজনক। এর থেকে বোঝা যায় আমাদের অনেক উন্নতির জায়গা আছে। পাকিস্তানে ভালো ক্রিকেট খেলায় আমরা জিতেছি। তবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে অনেক বিষয় রয়েছে, যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে।’
নাজমুল বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে একই জিনিস হয়ে আসছে। টেস্টে টপ অর্ডার যদি রান না করতে পারে, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য লড়াইটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। টপ-অর্ডারে যারা ব্যাটিং করে, তারা কী চিন্তা করে বা কী ধরণের প্রস্তুতি নেয়, আমি জানি না। তবে এভাবে চলতে থাকলে ফলাফল এরকমই হবে’। তিনি মনে করেন এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী ক্রিকেটারদের দক্ষতা এবং মানসিকতা।
শান্ত বলেন, ‘অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে আমাদের দক্ষ হয়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি মানসিকতার বিকাশ ঘটাতে হবে। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে খুঁজে বের করতে হবে। মাঠের বাইরে অনেক কিছু চলতে পারে, তাই বলে এতো খারাপ খেলব এটা মেনে নেওয়া যায় না। খেলোয়াড়দের জিনিসগুলোর সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তাইজুল ইসলাম এবং ব্যাট হাতে ৮২ রান করেছিলেন মোমিনুল হক, শান্তর আক্ষেপ তাঁদের কেউ যোগ্য সহায়তা করতে পারেনি। তাই তিনি মনে করেন দলগতভাবে ভালো পারফরম্যান্স করাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।