ইনিংসের ১৫তম ওভারে নিকোলাস পুরান যখন আউট হন, ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ৮৯ রান। জয়ের জন্য তখনও টিকেআরের দরকার ছিল ৫ ওভারে ৬০ রান। অর্থাৎ, ওভার প্রতি ১২ রান করে দরকার ছিল নাইট রাইডার্সের। হাতে ছিল ৫ উইকেট। সুতরাং, লড়াইটা সহজ ছিল না মোটেও।
তবে আন্দ্রে রাসেল ব্যাট হাতে ক্রিজে আসতেই ছবিটা বদলে যায় মুহূর্তে। ১৬তম ওভারে শামার জোসেফের বলে ১টি চার মারেন রাসেল। ১৭তম ওভারে ন্যাথনের বলে ৩টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৮তম ওভারে কিমো পলের বলে ফের একটি ছয় মারেন দ্রে রাস। ফলে ম্যাচ নাইট রাইডার্সের নাগালের মধ্যে চলে আসে।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১২ রান দরকার ছিল ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের। তবে জয়ের জন্য শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি ছিলেন না টিম ডেভিড। তিনি কিমো পলের প্রথম ২টি বলে পরপর ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে নাইট রাইডার্সের জয় নিশ্চিত করেন।
বৃহস্পতিবার পোর্ট অফ স্পেনে চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়র লিগের ১৯তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে কায়রন পোলার্ডের নেতৃত্বাধীন ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স ও শাই হোপের নেতৃত্বাধীন গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে গায়ানা। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে।
আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন রোমারিও শেফার্ড। তিনি ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ৫১ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ২৮ বলে ৩৪ রান করেন টিম রবিনসন। মারেন ৪টি চার। ২৫ বলে ২১ রান করেন ডোয়েন প্রিটোরিয়াস। তিনি ২টি চার মারেন। মইন আলি ১১, শিমরন হেতমায়ের ৭ ও শাই হোপ ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
নাইট রাইডার্সের হয়ে ১৯ রানে ২টি উইকেট নেন ওয়াকার সালামখেইল। ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন সুনীল নারিন। ১টি করে উইকেট নেন আকিল হোসেন ও ডোয়েন ব্র্যাভো। ২ ওভারে ২০ রান খরচ করেও উইকেট পাননি আন্দ্রে রাসেল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে নাইট রাইডার্স ১৯.২ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৯ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ ৪ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। ৫ ম্যাচে ৪টি জয়-সহ ৮ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে নাইট রাইডার্স।
আন্দ্রে রাসেল ১৫ বলে ৩৬ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন। তিনি ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ২৪ বলে ৩১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন টিম ডেভিড। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ২৯ রান করেন শাক্কের প্যারিস। তিনি ২.৫ ওভারে গুড়াকেশ মোতির বলে একটি ১২৪ মিটারের দৈত্যাকার ছক্কায় তাক লাগিয়ে দেন সকলকে।
১৭ বলে ১৯ রান করেন নিকোলাস পুরান। মারেন ১টি চার ও ১টি ছক্কা। সুনীল নারিন ৬ বলে ১১ রান করে আউট হন। ম্যাচের সেরা হন দ্রে রাস।