আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামে যে কয়েকজন হাই-প্রোফাইল ভারতীয় তারকা অবিক্রিত থাকেন, তাঁদের মধ্যে সবার উপরে নাম রয়েছে শার্দুল ঠাকুরের। কিছুদিন আগেও টিম ইন্ডিয়ার মূল্যবান সদস্য ছিলেন শার্দুল। এখন বোলিংয়ে ধার কমেছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে তাই বলে আইপিএল নিলামে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে দলে নেবে না, এমনটাও আশা করা যায়নি।
যদিও শার্দুলের উপর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের বিশ্বাস উঠে যাওয়ার যথার্থ কারণ রয়েছে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে যেভাবে দু'হাত খুলে রান বিলোচ্ছেন মুম্বইয়ের তারকা পেসার, তাতে নিতান্ত সাধারণ মানের বোলার মনে হচ্ছে শার্দুলকে।
শুক্রবার এমনই খরুচে বোলিংয়ের জন্য হতাশাজনক একটি রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যায় শার্দুল ঠাকুরের নাম। এক্ষেত্রে লজ্জার রেকর্ডে অরুণাচলপ্রদেশের রমেশ রাহুলের পাশে বসে পড়েন শার্দুল। আসলে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে খরুচে বোলিংয়ের অবাঞ্ছিত রেকর্ড গড়ে বসেন তিনি।
শুক্রবার হায়দরাবাদের উপ্পলে কেরলের বিরুদ্ধে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ম্যাচে ৪ ওভার বল করে ৬৯ রান খরচ করেন শার্দুল। অর্থাৎ তাঁর ইকনমি রেট ছিল ১৭.২৫। অবশ্য ১টি উইকেটও নেন শার্দুল। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ৪ ওভারের বোলিং কোটায় এত বেশি রান খরচ করেছেন কেবল অরুণাচলের রমেশ রাহুল। তিনি এবছরই হরিয়ানার বিরুদ্ধে ৬৯ রান উপহার দেন নিজের বোলিং কোটায়।
সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে খরুচে বোলিং
১. শার্দুল ঠাকুর (মুম্বই)- ৬৯ (বনাম কেরল, ২০২৪)।
২. রমেশ রাহুল (অরুণাচলপ্রদেশ)- ৬৯ (বনাম হরিয়ানা ২০২৪)।
৩. পাগাড়ালা নাইডু (হায়দরাবাদ)- ৬৭ (বনাম মুম্বই, ২০১০)।
৪. বালচন্দ্র অখিল (কর্ণাটক)- ৬৭ (বনাম তামিলনাড়ু, ২০১০)।
৫. লিচা তেহি (অরুণাচলপ্রদেশ)- ৬৭ (বনাম বাংলা, ২০১৯)।
মুম্বই বনাম কেরল ম্যাচের ফলাফল
শুক্রবার উপ্পলে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কেরল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৩৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ওপেন করতে নেমে ৪ বলে ৪ রান করে আউট হন সঞ্জু স্যামসন। ৪৮ বলে ৮৭ রান করেন রোহন কুন্নমাল। তিনি ৫টি চার ও ৭টি ছক্কা মারেন। নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন সলমন নিজার। তিনি ৪৯ বলে ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৫টি চার ও ৮টি ছক্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ রানে আটকে যায়। অর্থাৎ, কেরলের কাছে ৪৩ রানে পরাজিত হয় মুম্বই। রাহানে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৫ বলে ৬৮ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে আউট হন। রাহানে মোট ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার করেন ১৮ বলে ৩২ রান। তিনি ২টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।