রঞ্জিতে রোহিত-যশস্বীদের ব্যর্থতার দিনে ব্যাট হাতে মুম্বইয়ের হয়ে সম্মান রক্ষা করেন শার্দুল ঠাকুর। ৪৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একসময় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল মুম্বই। রান করতে ব্যর্থ হন রোহিত শর্মা, যশস্বী জসওয়াল, শ্রেয়স আইয়ার, অজিঙ্কা রাহানের মতো তারকা ব্যাটাররা। সেই সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন শার্দুল ঠাকুর। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন শার্দুল। তাঁর এই ইনিংসের সুবাদে ১০০ রানের গণ্ডি পার করতে সক্ষম হয় মুম্বই। ৫৭ বলে ৫১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শার্দুল ঠাকুর। মেরেছিলেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। এরপরেই জাতীয় দলে সুযোগ না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন শার্দুল।
দিনের শেষে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় তিনি বলেন, দল নির্বাচন হওয়া উচিত ‘মান’ দেখে। শার্দুল বলেন, ‘আমি আমার মান নিয়ে কিভাবে কথা বলব? অন্যরা বলতে পারবে। যদি কেউ মানসম্পন্ন ক্রিকেটার হয় তবে তাকে কিভাবে বেশি সুযোগ দেওয়া যায় সেই বিষয়টা দেখা উচিত।’ নিজের ব্যাটিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করাটা উপভোগ করি। সহজ পরিস্থিতিতে তো যে কেউ রান করতে পারবে। যখন পরিস্থিতি আপনার অনুকূলে নয় তখন আপনি কীভাবে ব্যাটিং করেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমি কঠিন পরিস্থিতিটাকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে থাকি এবং সব সময় ভাবি কীভাবে সেটাকে কাটিয়ে উঠব।’
IPL ২০২৫-এর মেগা অকশনে আনসোল্ড ছিলেন শার্দুল ঠাকুর। ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজির কেউ এই অলরাউন্ডারকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি। এদিন সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে শার্দুল জানান, ধাক্কা কাটিয়ে ওঠাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘আগে কী হয়েছে সেটাকে আপনাকে ভুলে যেতে হবে। আপনি সেটাকে বদলাতে পারবেন না। গুরুত্বপূর্ণ হল আপনাকে বর্তমানে ফোকাস থাকতে হবে এবং নিকট ভবিষ্যতে আপনি কী করবেন সেটা ঠিক করতে হবে।’ রোহিতের প্রশংসা করেছেন শার্দুল। তিনি বলেন, ‘ও মুম্বই ক্রিকেটের অনুরাগী। প্রত্যেক মুম্বাইকার ক্রিকেটের অনুরাগী। এমনকী যদি কেউ জাতীয় দলের হয়ে খেলে সে মুম্বইয়ের দল কেমন খেলছে সেই বিষয়ে খোঁজ রাখে। রোহিতের ক্ষেত্রে আমার যেটা মনে হচ্ছে ও নিজের জোনে থেকে খেলছে, খুব বেশি আলাদা কিছু করার চেষ্টা করছে না। বিষয়গুলিকে সহজ রাখার চেষ্টা করে ও।’