রঞ্জি ট্রফিতে জম্মু ও কাশ্মীরের বিরুদ্ধে দুরন্ত ব্যাটিং করে নজর কাড়লেন শার্দুল ঠাকুর। মুম্বইয়ের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে অনবদ্য সেঞ্চুরি করেন তিনি। এর আগে প্রথম ইনিংসেও হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন শার্দুল। ব্যাট হাতে যখন রোহিত শর্মা, যশস্বী জসওয়াল, অজিঙ্কা রাহানেরা রান পেতে ব্যর্থ হন, তখন ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ত্রাতার ভূমিকা নেন শার্দুল। দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ১১৯ বলে ১১৩ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। গতকালই হাফ সেঞ্চুরি করার পর বলেছিলেন, কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করাটা তিনি উপভোগ করেন। আজ যেন নিজের কথা মাফিক কাজ করলেন তিনি। তাঁর এই পারফরম্যান্স দেখার পর হয়তো হাত কামড়াচ্ছে IPL-এর ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো। কারণ গত নভেম্বরে জেড্ডায় অকশনে শার্দুলকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে বিন্দুমাত্র আগ্রহ দেখায়নি ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজির একটিও। এদিনের সেঞ্চুরি যেন তারই জবাব ছিল।
কঠিন উইকেটে অনবদ্য সেঞ্চুরি শার্দুলের:
শুক্রবার আরও একবার কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে এসেছিলেন শার্দুল ঠাকুর। তিনি যখন ক্রিজে আসেন সেই সময় মুম্বইয়ের স্কোর ছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ৯১। শক্ত পিচে অনায়াসে রান করতে থাকেন তিনি। ১৭টা চারের সাহায্যে ইনিংসে ১১৯ বলে ১১৩ রান করে দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। এদিন শার্দুলের সঙ্গে যোগ্য সঙ্গ দেন তনুশ কোটিয়ান। ১১৯ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত রয়েছেন তিনিও। দু’জনে মিলে অষ্টম উইকেটের জন্য ১৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলেছেন। এদিন সেঞ্চুরি করে বেশ উত্তেজিত দেখায় শার্দুলকে। ১০৫ বলে নিজের শতক পূর্ণ করেন তিনি। আবিদ মুস্তাকের বলে সুইপ মেরে সিঙ্গেলের জন্য দৌড়ান তিনি। সেঞ্চুরি হয়েছে বুঝে ছুটে যান প্যাভিলিয়নের দিকে। দু’হাত শূন্যে ভাসিয়ে বুঝিয়ে দেন ‘আমি আছি’। এটি শার্দুলের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক ছিল। তাঁর দুরন্ত ব্যাটিংয়ের সুবাদে দিনের শেষে মুম্বইয়ের স্কোর ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭৪।
প্রথম ইনিংসেও হাফ-সেঞ্চুরি শার্দুলের:
প্রথম ইনিংসেও ভালো ব্যাটিং করেছিলেন শার্দুল। ৪৭ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে একসময় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিল মুম্বই। রান করতে ব্যর্থ হন রোহিত-শ্রেয়সের মতো তারকা ব্যাটাররা। সেই সময় ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন শার্দুল ঠাকুর। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমে হাফ-সেঞ্চুরি করেন শার্দুল। তাঁর এই ইনিংসের সুবাদে ১০০ রানের গণ্ডি পার করতে সক্ষম হয় মুম্বই। ৫৭ বলে ৫১ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শার্দুল ঠাকুর। মেরেছিলেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। প্রথম ইনিংসে বল হাতেও উইকেট পেয়েছেন শার্দুল। ১৫.৩ ওভার বল করে ৩৯ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। মেডেন করেছিলেন ৩ ওভার।