চলতি রঞ্জি ট্রফিতে ধারাবাহিকভাবে মুম্বইকে নির্ভরতা দিয়ে চলেছেন শার্দুল ঠাকুর। একের পর এক ম্যাচে ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্সে চমক দিচ্ছেন টিম ইন্ডিয়ার আঙিনা থেকে ছিটকে যাওয়া তারকা অল-রাউন্ডার।
রঞ্জির গ্রুপ লিগের শেষ ৩টি ইনিংসে শার্দুল ঠাকুর ২টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি করেন। তিনটি ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৫১, ১১৯ ও ৮৪ রান। তবে নক-আউটে এসে থমকায় তাঁর ব্যাট। ইডেনে হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জি কোয়ার্টারের প্রথম ইনিংসে শার্দুল ১৫ বলে ১৫ রান করে আউট হন। তিনি ৩টি চার মারেন।
ব্যাট হাতে নজর কাড়তে না পারলেও ইডেনে বল হাতে চমক দিলেন শার্দুল। কার্যত একার হাতে মুম্বইকে প্রথম ইনিংসের নিরিখে ছোটখাটো লিড এনে দিলেন তিনি। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত ড্র হলে এই ছোট লিডই সেমিফাইনালে তুলতে পারে মুম্বইকে।
ইডেনে হরিয়ানার বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা ৩১৫ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস শেষ করে। অজিঙ্কা রাহানে ৩১, সূর্যকুমার যাদব ৯, শিবম দুবে ২৮, শামস মুলানি ৯১ ও তনুষ কোটিয়ান ৯৭ রান করেন। হরিয়ানার হয়ে প্রথম ইনিংসে ৩টি করে উইকেট নেন অংশুল কাম্বোজ ও সুমিত কুমার। ১টি করে উইকেট নেন জয়ন্ত যাদব ও নিশান্ত সিন্ধু।
পালটা ব্যাট করতে নেমে হরিয়ানা একসময় তাদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটে ১৬৮ রান তুলে ফেলে। সেখান থেকে নিয়মিত অন্তরে তিনটি উইকেট হারিয়ে হরিয়ানা পৌঁছে যায় ৪ উইকেটে ২৫৭ রানে। অর্থাৎ, আরও ৫৯ রান করলেই হরিয়ানা প্রথম ইনিংসের নিরিখে মুম্বইকে টপকে যেত। তবে শার্দুল ঠাকুরের জন্যই সেটা সম্ভব হয়নি হরিয়ানার পক্ষে।
আরও পড়ুন:- IND vs ENG 2nd ODI: কটকে রোহিত শর্মার ৭টি ছক্কা কত মিটারের?
হরিয়ানা দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান তুলে। তৃতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে হরিয়ানা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩০১ রানে। অর্থাৎ, দেওয়ালে পিঠ ঠেকা অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে মুম্বই প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৪ রানের লিড নিয়ে নেয়।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট শার্দুল ঠাকুরের
তৃতীয় দিনে হরিয়ানার শেষ ৫টি উইকেটই তুলে নেন শার্দুল ঠাকুর। অর্থাৎ, তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৩৮ রানের মধ্যে শেষ ৫টি উইকেট খুইয়ে বসে হরিয়ানা। তাদের প্রথম প্রথম ইনিংসে ১৩৬ রান করেন ক্যাপ্টেন অঙ্কিত কুমার।
শার্দুল মম্বুইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে ১৮.৫ ওভার বল করে ৩টি মেডেন-সহ ৫৮ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন। ২টি করে উইকেট নেন শামস মুলানি ও তনুষ কোটিয়ান।