অস্ট্রেলিয়ার সফরে খারাপ পারফরম্যান্সের ফল, ক্রিকেটারদের উদ্দেশ্যে ১০ পয়েন্টের কঠোর নির্দেশিকা জারি করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছিল ভারতীয় দলের ক্রিকেটারদের এখন থেকে সময় পেলে বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলতে হবে। যেই কারণে সম্প্রতি বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মার মতো একাধিক তারকা ক্রিকেটারকে রঞ্জি ম্যাচে ব্যাট হাতে ক্রিজে দেখা যায়। এবার এই প্রসঙ্গে নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান। তিনি বোর্ডের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়েছেন, তবে একই সঙ্গে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের ওপর জোর দিয়েছেন।
শিখর ধাওয়ান স্বীকার করেছেন যে ঘরোয়া ক্রিকেট, খেলোয়াড়দের ফর্ম ফিরে পেতে বড় ভূমিকা গ্রহণ করে থাকে, বিশেষ করে চোট কাটিয়ে ফিরে আসার পর বা খারাপ পারফরম্যান্সের পর। ANI-এর সঙ্গে কথা বলার সময় ধাওয়ান বলেন, ‘অবশ্যই, খেলা উচিত। যদি কেউ ইনজুরি থেকে ফেরে, তবে অবশ্যই তাকে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ফিটনেস প্রমাণ করা দরকার। উদাহরণ হিসাবে আপনি শামিকে নিতে পারেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার আগে সে পুরো মরশুম ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলে নিজের ফিটনেস প্রমাণ করেছে।’
তবে এই প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার খেলা এবং বিশ্রামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করেছেন। ধাওয়ান বলেন, ‘যদি একজন খেলোয়াড় অফ ফর্মে থাকে তবে ঘরোয়া ক্রিকেট তার পক্ষে নিজের ছন্দ ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে ভালো জায়গা। কিন্তু যদি কোনও খেলোয়াড় সদ্য বড় কোনও আন্তর্জাতিক সফর শেষ করে দেশে ফেরেন এবং ৫ দিনের বিশ্রাম নিয়ে ফের খেলতে নামেন তবে তা সেই ক্রিকেটারের ফিটনেসের উপর প্রভাব ফেলবে।’ নতুন এই নিয়ম কার্যকর নিয়ে অনেক সমালোচনা শুরু হয়েছিল। অনেকেই মনে করছিলেন দলের মধ্যে বিভাজন দেখা যাওয়ার কারণে বোর্ড এইসব নিয়ম চালু করেছে। তবে ধাওয়ান জানান যে এই সব নিয়ম আগেও ছিল।
ধাওয়ান বলেন, ‘এই সব নিয়ম আগেও ছিল। অতীতে এই সব ছিল। পরিবার কতদিন থাকতে পারবে সেটা নিয়েও নিয়ম ছিল। কিছু সময় তারা সঙ্গে থাকতে পারে, তারপর ক্রিকেটারকে পুরোপুরি খেলায় ফোকাস করতে হয়।’ বিসিসিআই-এর দেওয়া ১০ পয়েন্ট নিয়মের মধ্যে সবচেয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল স্ত্রীদের দলের সঙ্গে সফর করার বিষয়টি নিয়ে। ধাওয়ান এই ক্ষেত্রে শৃঙ্খলাপরায়ণতার উপর জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের জীবন খুবই শৃঙ্খলাপরায়ণ। একজন সঙ্গী থাকা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি একজন খেলোয়াড়কে মানসিক শান্তি পেতে সাহায্য করে। আপনি যদি ক্রমাগত চাপে থাকেন তবে আপনি তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাবেন।’