চলতি বিগ ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী ম্য়াচে ৪টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৪৩ বলে ৮৬ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংসে খেলেন শিখর ধাওয়ান। দ্বিতীয় ম্যাচে তিনি ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৫ বলে ৩০ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় ম্যাচে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ২৯ বলে ৬৬ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন গব্বর। এবার চতুর্থ ম্যাচে বিধ্বংসী শতরান করলেন তিনি। সব মিলিয়ে বলাই যায় যে, বিগ ক্রিকেট লিগে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাচ্ছেন শিখর।
সুরাটে চলতি বিগ ক্রিকেট লিগের ১০ নম্বর লিগ ম্যাচে ধাওয়ানের নেতৃত্বাধীন নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্সের ম্যাচ ছিল ইমরান তাহিরের নেতৃত্বাধীন ইউপি ব্রিজ স্টার্সের বিরুদ্ধে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ২৭১ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
শিখর ধাওয়ান মাত্র ২৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকে যান ৪৯ বলে। শেষমেশ ৬৩ বলে ১১৯ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন ধাওয়ান। মারেন ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কা। শিখর ছাড়াও ঝোড়া শতরান করেন নর্দার্নের শামিউল্লাহ শিনওয়ারি। তিনি ৭টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৬ বলে ১১১ রান করে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ৩১ রান করেন গুরকিরৎ সিং মন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইউপি ব্রিজ স্টার্সও ২০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। তবে ধাওয়ানদের রানের পাহাড় টপকে জয় তুলে নেওয়া সম্ভব হয়নি ইউপির পক্ষে। ইউপি ব্রিজ স্টার্স ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২১৯ রানে আটকে যায়। ৫২ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্স।
ইউপি ব্রিজ স্টার্সের হয়ে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ৭২, চিরাগ গান্ধী ৬২ ও আসগর আফগান ৪১ রান করেন। নর্দার্নের সিদ্ধার্থ কৌল ৩০ রানে ২টি উইকেট দখল করেন।
চলতি বিগ ক্রিকেট লিগে শিখর ধাওয়ানের ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স
১. প্রথম ম্যাচে ৪৩ বলে ৮৬ রান।
২. দ্বিতীয় ম্যাচে ১৫ বলে ৩০ রান।
৩. তৃতীয় ম্যাচে ২৯ বলে ৬৬ রান।
৪. চতুর্থ ম্যাচে ৬৩ বলে ১১৯ রান।
শিখর ধাওয়ার টুর্নামেন্টের চার ম্যাচে মাঠে নেমে সব থেকে বেশি ৩০১ রান সংগ্রহ করেছেন। সেঞ্চুরি করেছেন ১টি এবং হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন ২টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১১৯ রানের। গব্বর এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে সব থেকে বেশি ১৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।