ব্যাট হাতে দলের পারফর্ম্যান্সে কার্যকরী অবদান রাখছিলেন। তবে বড় মঞ্চে দরকারের সময় বল হাতে জ্বলে উঠলেন শিবম দুবে। রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে শার্দুল ঠাকুরদের যখন গড়পড়তা মনে হয়, শিবম দুবে একাই ৫ উইকেট নিয়ে লড়াইয়ে ফেরালেন মুম্বইকে। দুবের দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্যই প্রথম ইনিংসে চারশো টপকাতে ব্যর্থ হয় বিদর্ভ। নাহলে একসময় বিদর্ভের ৫০০ টপকে যাওয়াও অসম্ভব দেখাচ্ছিল না।
নাগপুরের জামথায় মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে রঞ্জি সেমিফাইনালে টস জেতে বিদর্ভ। টস জিতে হোম টিম শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথম দিনেই বিদর্ভ তাদের প্রথম ইনিংসে ৩০০ রানের গণ্ডি টপকে যায়। তারা প্রথম দিনে ৮৮ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩০৮ রান তোলে।
হাতে ৫ উইকেট থাকায় বিদর্ভ নিজেদের প্রথম ইনিংসকে আরও বিরাট রূপ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে বিদর্ভ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৮৩ রানে। তারা সাকুল্যে ১০৭.৫ ওভার ব্যাট করে। অর্থাৎ, দ্বিতীয় দিনে ১৯.৫ ওভার ব্যাট করে দলের ইনিংসে ৭৫ রান যোগ করেই শেষ ৫টি উইকেট হারিয়ে বসে বিদর্ভ।
হাফ-সেঞ্চুরি ধ্রুব-দানিশ-যশের
প্রথম ইনিংসে বিদর্ভের হয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন ধ্রুব শোরে, দানিশ মালেওয়ার ও যশ রাঠোর। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন করুণ নায়ার। ধ্রুব শোরে ১০৯ বলে ৭৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শামস মুলানির বলে অজিঙ্কা রাহানের হাতে ধরা পড়ার আগে ধ্রুব ৯টি চার মারেন। দানিশ মালেওয়ার ১৫৭ বলে ৭৯ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনি ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। মুলানির বলে উইকেটকিপার আনন্দের দস্তানায় ধরা দেন তিনি।
আরও পড়ুন:- WPL 2025 Orange Cap: অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে দুইয়ে উঠলেন মন্ধনা, সেরা পাঁচে বাংলার রিচা
১১৩ বলে ৫৪ রান করেন যশ রাঠোর। তিনি শার্দুল ঠাকুরের বলে তাঁর হাতেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৭টি চার মারেন। করুণ নায়ার ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭০ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। নায়ারকে সাজঘরে ফেরান শিবম দুবে। করুণও আনন্দের দস্তানায় ধরা দেন।
শিবম দুবের ৫ উইকেট
মুম্বইয়ের হয়ে প্রথম ইনিংসে শিবম দুবে ১১.৫ ওভার বল করে ৪৯ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। করুণ নায়ার ছাড়াও দুবে তুলে নেন পার্থ রেখাড়ে, হর্ষ দুবে, নচিকেত ভুটে ও যশ ঠাকুরের উইকেট। এছাড়া শামস মুলানি ও রয়স্টোন ডায়াস ২টি করে উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।