ফর্মের ধারেকাছে নেই বাবর আজম। আগেই হারাতে হয়েছিল অধিনায়ক পদ। এবার তাঁকে নিয়ে বড় মন্তব্য করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শোয়েব আখতার। বর্তমানে ICC-এর ওডিআই ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে ১ নম্বরে রয়েছেন বাবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কোনও বড় রান আসেনি তাঁর ব্যাট থেকে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হওয়ার পর বাবরকে টিম থেকে বসাতেও দ্বিধা করেনি ম্যানেজমেন্ট। পাকিস্তান সেই সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছিল। এরপরে অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য দলে ফিরিয়ে আনা হয় তাঁকে। সেখানে ওডিআই এবং টি-২০ ম্যাচ খেলেছিল পাকিস্তান। তবে দুই ফরম্যাটেই ব্যাট হাতে রান করতে ব্যর্থ হন বাবর।
বর্তমানে পাকিস্তান লাল বল এবং সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য আলাদা আলাদা কোচ নিযুক্ত করেছে। সাদা বলের দায়িত্ব নিয়েছেন আকিব জাভেদ। প্রাক্তন ক্রিকেটার শোয়েব আখতার মনে করছেন বাবরকে নিজের জায়গা দলে পাকা করতে হলে পারফর্ম করতে হবে, নয়তো তাঁকে বাইরে বসতে হবে। একটি পাকিস্তানি টিভি চ্যানেলে বসে শোয়েব বলেন, ‘সে আমাদের তারকা খেলোয়াড়, আমি তার পাশে আছি। তবে নতুন ম্যানেজমেন্টের নতুন চিন্তাধারার সামনে তাকে নিজের নিউরোলোজিকাল ওয়ারিংগুলিকে বদলাতে হবে। নাহলে ম্যানেজমেন্ট তাকে টি-২০ ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করবে না, এমনকী ওডিআই ক্রিকেটের জন্যও নয়।’
প্রাক্তন পাক পেসার মনে করছেন বাবরের আসন্ন চ্যাম্পিয়ন ট্রফিতে শতক লাগিয়ে নিজেকে প্রমাণ করা উচিত। তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হল সেই সময় এবং জায়গা যেখানে বাবরকে পাকিস্তানকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া দরকার। টুর্নামেন্টে তার আধিপত্য থাকা উচিত এবং এই ফর্ম্যাটে নিজেকে প্রমাণ করতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৩টি ম্যাচ জয়ী সেঞ্চুরি করতে হবে। অন্যথায় তার দলে টিকে থাকার পথ খুব কঠিন হবে।’
পাকিস্তান আইসিসি ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসল আয়োজক। তবে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আইসিসিকে জানিয়েছে যে তারা সে দেশে খেলতে যাবে না। কারণ ভারত সরকারের তরফে পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য রোহিতদের অনুমতি দেওয়া হবে না। এরপরেই হাইব্রিড মডেল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। পাকিস্তান রাজি হলেও শর্ত রাখে যে ভবিষ্যতে ভারতে আয়োজিত সব আইসিসি ইভেন্টের ক্ষেত্রেও হাইব্রিড মডেল ব্যবহার করতে হবে। ভারত পাকিস্তানে না এলে তারাও ভারতে আসবে না বলে হুঁশিয়ারি দেয়। বিসিসিআইয়ের তরফে তাদের সেই দাবিও খারিজ করে দেওয়া হয়।