চলতি ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসে প্রথম হারের মুখ দেখল পাকিস্তান। বড় রানের ইনিংস গড়েও হারতে হয় শাহিদ আফ্রিদিদের। টুর্নামেন্টে পরপর ৪টি ম্যাচ জিতে পাকিস্তানের আগেই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে। তবে অপরাজিত থেকে তাদের শেষ চারের বৃত্তে ঢোকা হল না। নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে পাকিস্তান হেরে যায় লাস্টবয় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
পাকিস্তান জিতলে এদিনই চার সেমিফাইনালিস্ট নির্ধারিত হয়ে যেত। ইংল্যান্ডের পরে সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিত দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে মরণ-বাঁচন ম্যাচে ধ্বংসাত্মক ক্রিকেট উপহার দেয় প্রোটিয়া দল। তারা পাকিস্তানের ঝুলিয়ে দেওয়া বিশাল লক্ষ্যমাত্রা টপকে সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকে।
নর্দাম্পটন কাউন্টি গ্রাউন্ডে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স দল। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২১০ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন শার্জিল খান ও শোয়েব মালিক।
শার্জিল ৩৬ বলে ৭২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন। ২৬ বলে ৫১ রান করে অপরাজিত থাকেন শোয়েব মালিক। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। শাহিদ আফ্রিদি ১০ বলে ২০ রান করেন। মারেন ৩টি চার ও ১টি ছক্কা। ২৪ বলে ২৪ রান করেন শোয়েব মাকসুদ। তিনি ২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন।
এছাড়া ২টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১ বলে ১৩ রান করেন কামরান আকমল। ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৫ বলে ২৫ রান করে নট-আউট থাকেন আবদুল রাজ্জাক। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১টি করে উইকেট নেন ডেল স্টেইন, ভার্নন ফিল্যান্ডার, চার্ল ল্যাঙ্গভেল্ট ও ইমরান তাহির।
পালটা ব্যাট করতে নেমে সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ১৮.৩ ওভারে মাত্র ১ উইকেটের বিনিময় ২১৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ধ্বংসাত্মক শতরান করেন সারেল এরউই। তিনি ৫৭ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা। ৪৭ বলে ৮২ রান করে নট-আউট থাকেন জ্যাক স্নিম্যান। ডুমিনি ৯ রান করে আউট হন।
পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন সোহেল খান। শাহিদ আফ্রিদি ৪ ওভারে ২৮ রান খরচ করেন। মারকাটারি শতরানে ম্যাচ জেতানোর সুবাদে সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সারেল। সুতরাং, ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৪২৪ রান ওঠে। হাই-স্কোরিং ম্যাচে ধুন্ধুমার লড়াইয়ের সাক্ষী থাকেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।