Shoaib Akhtar revealed how a saint predicted: ১৯৯৭ সালে অভিষেক করেছিলেন শোয়েব আখতার। তাঁর অভিষেকের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান আরও এক নতুন গতির তারকাকে পেয়েছিল, যারা এর আগে ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম ও ওয়াকার ইউনুসের মতো কিংবদন্তিদের জন্ম দিয়েছিল। ১৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে শোয়েব আখতার পাকিস্তানের হয়ে ১৬৩টি ওয়ানডে, ৪৬টি টেস্ট ও ১৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এবং মোট ৪৪৪টি আন্তর্জাতিক উইকেট শিকার করেছেন।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই অসাধারণ কেরিয়ার হয়তো কখনই গড়ে উঠত না। জানেন এর আসল কারণ কী? এর কারণ হল জন্মের পর শোয়েব আখতার নাকি হাঁটতেই পারতেন না। শোয়েব আখতার আসলে জন্মগতভাবে শারীরিকভাবে অক্ষম ছিলেন। আট বছর বয়স পর্যন্ত হাঁটার জন্য লড়াই করেছিলেন পাকিস্তানের পেস ক্রিকেটার। কিন্তু হঠাৎ করেই সবকিছু বদলে যায়।
আরও পড়ুন … সাদা বলে শ্রেয়স খুব ভয়ঙ্কর তবু কেন টিম ইন্ডিয়ার স্থায়ী সদস্য নন? BCCI-র সিদ্ধান্তে অবাক পন্টিং
নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন শোয়েব আখতার-
শোয়েব আখতার নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করেন। ‘ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তান: দ্য গ্রেটেস্ট রাইভ্যালরি’ অনুষ্ঠানে। শোয়েব আখতার বলেন, ‘একজন সাধু আমাদের বাড়িতে আসতেন। তিনি আমার মাকে বলেছিলেন, ‘একজন ছেলে আসবে, যে সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করবে।’ আমার মা তখন খুব উদ্বিগ্ন ছিলেন। তিনি জানতে চেয়েছিলেন, ‘সে কে হবে? সে কী করবে?’
এরপরে শোয়েব আখতার বলেন, ‘আমার মা আমাকে বলেছিলেন, যখন আমার জন্ম হয়, তখন আমি পঙ্গু ছিলাম। আমি হাঁটতে পারতাম না। তবে ৯ বছর বয়সে একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে, এবং আমি দৌড়ানো শুরু করি। সেই সময়ে আমি আলোর গতিতে দৌড়াতাম।’
আরও পড়ুন … National Games 2025: মহিলাদের ফুটবলে পেনাল্টিতে ওড়িশাকে হারিয়ে সোনা জিতল হরিয়ানা, ব্রোঞ্জ এল বাংলায়
শুধু একজন শোয়েব আখতারই আছেন
শোয়েব আখতার অবসরে নিয়েছেন ১৪ বছর হয়ে গেছে, কিন্তু তখনকার ব্যাটসম্যানদের জিজ্ঞেস করলে, তারা একবাক্যে স্বীকার করবেন যে, তারা কখনও আখতারের চেয়ে দ্রুততর বোলারের মুখোমুখি হননি। ব্রেট লি, নিউজিল্যান্ডের শেন বন্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার শন টেইট কিছুদিনের জন্য প্রতিযোগিতা করলেও, শোয়েবের গতির ধারেকাছে কেউ ছিল না।
২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের নিক নাইটের বিপক্ষে ১৬১.৩ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেগে বল করে শোয়েব আখতার প্রথমবারের মতো ১০০ মাইল প্রতি ঘণ্টার বাধা অতিক্রম করেন, যা আজও বিশ্বরেকর্ড হিসেবে টিকে আছে।
এরপর অনেক ফাস্ট বোলার এসেছেন এবং গেছেন। ম্যাট হেনরি, মিচেল স্টার্ক, মিচেল জনসনের মতো পেসাররা গতির দিক থেকে ভালো হলেও, শোয়েব আখতারের মতো কেউ ছিলেন না। ভারতের উমরান মালিক ভালোভাবে শুরু করলেও চোটের কারণে ধীরে ধীরে হারিয়ে গেছেন। তবে এটা সত্য যে, শুধু একজন শোয়েব আখতার আছেন এবং তিনি অতুলনীয়।
আরও পড়ুন … ODI এমন একটি ফর্ম্যাট যেটা তুমি সবচেয়ে বেশি উপভোগ করবে… যশস্বী জসওয়ালকে রোহিত শর্মার বিশেষ বার্তা
ক্রিকেট বিশ্বে যখনই ‘পেসার’ শব্দটি উচ্চারিত হবে, শোয়েব আখতার সেই আলোচনার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবেন। ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’ নামে পরিচিত এই গতিদানব আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সত্যিকারের দুর্ধর্ষ পেসার হিসেবে আবির্ভূত হন।
অবশ্য শোয়েব আখতারের আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত চতুষ্টয়—অ্যান্ডি রবার্টস, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার এবং মাইকেল হোল্ডিং—প্রথম যুগের গতির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। একইভাবে জেফ থমসন ও ডেনিস লিলিও ছিলেন দুর্দান্ত গতির প্রতীক। তবে শোয়েব আখতারের আবির্ভাবের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছিল যে, একজন বোলার নিয়মিতভাবে ১৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার বেশি গতিতে বল করতে পারেন।