আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে উড়িয়ে ফাইনালে পৌঁছে গেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম দল হিসেবে প্লে অফ নিশ্চিত করেছিল গৌতম গম্ভীরের দল, আর প্রথম দল হিসেবেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছে তাঁরা। সানরাইজার্সের অশ্বমেধের ঘোড়া মিচেল স্টার্কদের সামনে এসে হোঁচট খেয়েছে। ২৫ কোটির স্টার্ক এতদিনের সব সমালোচনার উত্তর দিয়ে দিয়েছেন কোয়ালিফায়ার ওয়ানে এসে। দল যা খেলছে তাতে ২০২১ সালে ফেলে আসা ট্রফি, ২০২৪ সালে জিতে নিতেই পারে শাহরুখ খানের ছেলেরা। সেবার এলিমিনেটর খেলে ফাইনালে উঠলেও সিএসকের কাছে হারতে হয়েছিল ভেঙ্কটেশ আইয়ারদের, কিন্তু এবার দল পুরো অন্য মেজাজে আছে। কর্ণধার শাহরুখ খানও প্রতি ম্যাচেই চেষ্টা করছেন ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়িয়ে ম্যাচ দেখতে আসার, আর তাতেই আরও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে নাইটরা।
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স হোক বা দেশের অন্য যে কোনও প্রান্ত, এবারে কেকেআরের খেলা দেখতে মাঠে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করেছেন শাহরুখ। দলের হারে পিঠ চাপড়ে দিয়েছেন বাদশাহ, একবারও অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের মতো মুখ গোমড়া করে বসে থাকেননি, বরং পরের ম্যাচেই ফিরে আসার রশদ হিসেবে দিয়েছেন পেপ টক, আর তাতেই ক্রিকেটাররা মন খুলে খেলতে পেরেছেন। সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে অর্ধশতরান করা নাইটদের দুই ক্রিকেটারই কেকেআর কর্ণধারকে প্রশংসায় ভাসালেন।
আরও পড়ুন-ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মই বদলে দিয়েছে কেরিয়ার, HT বাংলায় Exclusive অভিষেক পোড়েল
অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার ম্যাচে করেছিলেন ২৪ বলে অপরাজিত ৫৮ রান। আসল সময় জ্বলে উঠে বাহশাহ বন্দনা করে শ্রেয়স বলছেন, 'শাহরুখ খানের উপস্থিতি দলের মধ্যে একটা ইতিবাচক মানসিকতা এনে দেয়। গোটা পরিবেশটা পুরো বদলে দেয়। তাঁর খেলা দেখতে আসা, ক্রিকেটারদের বিপুল উদ্বুদ্ধ করে, ছেলেরা মাঠে নেমে নিজেদের সেরাটা দিতে মরিয়া থাকে, আর ঠিক সময় সেটা দিয়েছে '।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে ৩১ বলে ৫৮ রান করা বেঙ্কটেশ আইয়ার বলছেন, ‘আমার মনে হয় তাঁর উপস্থিতি প্রমাণ করে ঠিক কত বড় মাপের মানুষ তিনি। আমরা সব সময় তাঁকে টিভিতে দেখেই বড় হয়েছি, তাঁর ব্যক্তিত্ব দেখেছি। কিন্তু এখানে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক হিসেবে নয়, বড় দাদার মতোই আমাদের সব সময় পাশে দাঁড়ায়, সঠিক পথ দেখায়। তবে শুধু আমাদের নয়, নীতিশ রানাকেও খুব সাহায্য করেছে। নীতিশ চোট থেকে ফিরছিল, তখন ওর পাশে যেভাবে তিনি দাঁড়িয়েছিলেন, মানে অভূতপূর্ব ’।
আরও পড়ুন-বিরাটের সঙ্গে একমত, ODI থেকে ২ বলের নিয়ম তুলে দেওয়ার পক্ষে গম্ভীর, সহমর্মী অশ্বিনের প্রতি
ভারতীয় ক্রিকেটের মিলিয়ন ডলার ক্রিকেট লিগে অর্থবল অনেক মালিকেরই আছে। কিন্তু ক্রিকেটারদের সঙ্গে মালিক হিসেবে নয়, বরং দাদার মতো মিশতে পারলেই তাঁদের থেকে যেমন সেরাটা বের করে আনা সম্ভব, তেমন ড্রেসিং রুমের পরিবেশও ভালো রাখা সম্ভব, সেটাই প্রমাণ করে দিলেন বলিউডের বাহশাহ। অবশ্যই তিনি চাইবেন ছেলেরা যাতে এক দশক পর ফের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ট্রফি কলকাতায় নিয়ে আসতে পারে।