চিন্নাস্বামীতে শুভমন গিলের ইন্ডিয়া-এ বনাম অভিমন্যু ঈশ্বরনের ইন্ডিয়া-বি দলের দলীপ ম্যাচ এখনও রোমাঞ্চকর মোড় নেয়নি। তবে অনন্তপুরে রুতুরাজ গায়কোয়াড়ার ইন্ডিয়া-সি বনাম শ্রেয়স আইয়ারের ইন্ডিয়া-ডি দলের লড়াই জমে গিয়েছে। দ্বিতীয় দিনের শেষে পরিস্থিতি এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, যেখান থেকে ম্যাচের ভাগ্য যে কোনও এক পক্ষের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। সম্ভবত তৃতীয় দিনেই ম্যাচের ফলাফল নির্ধারিত হতে পারে। তবে আর যাই হোক, শ্রেয়সদের দলীপ ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নেই বলা চলে।
শুরুতে ব্যাট করতে নামা ইন্ডিয়া-ডি দলের প্রথম ইনিংস মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে দিয়ে রুতুরাজরা ভেবেছিলেন ম্য়াচের রাশ নিজেদের হাতে নেবেন। তবে তাঁদের সেই আশায় জল ঢালেন হর্ষিত রানা-অক্ষর প্যাটেলরা। কেননা পালটা ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-সি দল তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় ১৬৮ রানে। অর্থাৎ, মোটে ৪ রানের নিতান্ত ছোটখাটো লিড নিতে সক্ষম হন রুতুরাজরা।
ইন্ডিয়া-সি দলের হয়ে প্রথম ইনিংসে সব থেকে বেশি ৭২ রান করেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। এছাড়া অভিষেক পোড়েল করেন ৩৪ রান। হর্ষিত রানা ৪টি উইকেট দখল করেন। ২টি করে উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল ও সরাংশ জৈন। ১টি উইকেট নেন আর্শদীপ সিং।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া-ডি দল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করে ৮ উইকেটে ২০৬ রান তুলে। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন ক্যাপ্টেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি ৪৪ বলে ৫৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ৯টি চার ও ১টি ছক্কা। এছাড়া অর্ধশতরান করেন দেবদূত পাডিক্কাল। তিনি ৭০ বলে ৫৬ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। মারেন ৮টি চার।
এছাড়া ৯১ বলে ৪৪ রান করেন রিকি ভুই। তিনি ৫টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। কেএস ভরত ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ বলে ১৬ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ৩৭ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন অক্ষর প্যাটেল। তিনি ১টি চার মারেন। খাতা খুলতে পারেননি সরাংশ জৈন ও আর্শদীপ সিং। অক্ষরের সঙ্গে দিনের শেষে অপরাজিত থাকেন হর্ষিত রানা। তিনিও এখনও খাতা খোলেননি।
অর্থাৎ, ইন্ডিয়া-ডি দলের হাতে লিড রয়েছে ২০২ রানের। বাকি রয়েছে ২টি উইকেট। ইন্ডিয়া-সি দলের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে এখনও পর্যন্ত ৫টি উইকেট নিয়েছেন মানব সুতার। ২টি উইকেট নিয়েছেন বিজয়কুমার বৈশাক। ১টি উইকেট নিয়েছেন অংশুল কাম্বোজ।