ইন্ডিয়া-ডি দলের হয়ে দলীপ ট্রফির তিনটি ম্যাচে মাঠে নেমে ২টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন শ্রেয়স আইয়ার। একটি নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি মাঠে ফেলে আসেন তিনি। পরে ইরানি কাপে অবশিষ্ট ভারত একাদশের বিরুদ্ধে মুন্বইয়ের হয়ে ৫৭ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন শ্রেয়স। মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফিতে নিজের গত ম্যাচে ১৪২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেন আইয়ার। এবার ওড়িশার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্যাচে ফের সেঞ্চুরি করলেন তিনি। অর্থাৎ, মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ট্রফির টানা ২টি ইনিংসে শতরান করেন শ্রেয়স।
বিকেসি-র শরদ পাওয়ার ক্রিকেট অ্যাকাডেমি গ্রাউন্ডে রঞ্জির এলিট এ-গ্রুপের ম্যাচে ওড়িশার বিরুদ্ধে মাঠে নামে মুম্বই। টস জিতে হোম টিমকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় ওড়িশা। পৃথ্বী শ সুযোগ পাননি। তাই আয়ুষ মাত্রের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন গত আইপিএলে কেকেআরের হয়ে নজর কাড়া অংকৃষ রঘুবংশী।
আয়ুষ ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৭ বলে ১৮ রান করে আউট হন। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন রঘুবংশী। অংকৃষ ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৯২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শেষমেশ তিনি ১২৪ বলে ৯২ রানের দাপুটে ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। অর্থাৎ, মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন অংকৃষ।
তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সিদ্ধেশ ল্যাড ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১০৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ১৯৫ বলে। সাহায্য নেন ১২টি বাউন্ডারির। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে খাতা খুলতে পারেননি ক্যাপ্টেন অজিঙ্কা রাহানে। তিনি ১ বলেই আউট হয়ে বসেন।
পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শ্রেয়স আইয়ার ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৬১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। শ্রেয়স ঝড়ের গতিতে শতরানের গণ্ডিও টপকে যান। তিনি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ১০১ বলে। সাহায্য নেন ১৪টি চার ও ২টি ছক্কার। মুম্বই চায়ের বিরতিতে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২৪০ রান তুলে ফেলে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে ৮০ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৭ রান তুলেছে। শ্রেয়স আইয়ার ব্যাট করছেন ব্যক্তিগত ১১৬ রানে। ১৩৭ বলের ইনিংসে ১৫টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন। সিদ্ধেশ ল্যাড অপরাজিত রয়েছেন ব্যক্তিগত ১০৪ রানে। ১৯৮ বলের ইনিংসে তিনি ১৩টি চার মেরেছেন।